আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী দেখে আওয়ামী লীগ ভোট থেকে সরে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
ধানের শীষের জোয়ার উঠলে নৌকা অনেক দ্রুত ভেসে চলে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি মন্তব্য করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে নাগরিক অধিকার আন্দোলন এ আলোচনার আয়োজন করে।
মওদুদ বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই সরকার আতঙ্কিত হয়েছে। এ সরকার বুঝতে পেরেছে, ধানের শীষের জোয়ার উঠলে নৌকা অনেক দ্রুত ভেসে চলে যাবে। এই জিনিসটা তারা হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, পরাজয়ের ভয় থেকেই দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড় চলছে। না হলে তো এটা করার কথা নয়। কেন তারা এখনও গ্রেফতার করবে?
‘এত কিছু করার পরও এমনও হতে পারে যে, তারা নিজেরাই নির্বাচন থেকে সরে চলে যাবেন। যখন তারা দেখবে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী,’ যোগ করেন মওদুদ।
বিএনপির এ নেতা বলেন, তফসিল ঘোষণার পরও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের বদলে সরকারের হাতে। যেকোনোভাবে ক্ষমতায় থাকতে হবে, সরকারের এ লক্ষ্য নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে ধানের শীষের জোয়ার ঠেকাতে সরকারের কোনো নীলনকশাই কাজে আসবে না বলে হুশিয়ারি জানান তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মওদুদ আহমদ বলেন, এবার ভোট সুষ্ঠু না হলে বাংলাদেশ আগামীতে ‘একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে’ পরিণত হবে। এবার শেষ চান্স, শেষ পরীক্ষা। দরকার হলে আপনাদেরকে লড়াই করে ভোট দিতে হবে।
‘যারা আপনাদেরকে বাধা দেবে, তাদেরকে প্রতিহত করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না।’
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যদি ধানের শীষের পক্ষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভোট কেন্দ্রে যান, কেউ বাধা দিলে জবাব দেয়ার জন্য তৈরি থাকেন, তাহলে বিজয় সুনিশ্চিত।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবিরা নাজমুল, ফরিদ উদ্দিন, কাজী মনিরুজ্জামান, একেএম রেজাউল করীম, ইকবাল হোসেন, এম এ হালিম আলোচনায় অংশ নেন।