ভোটের হাওয়া লেগেছে সর্বত্র। শহর থেকে গ্রাম, হাটবাজার থেকে গ্রামের মেঠো সড়কের পাশে ছোট্ট চায়ের দোকান সব জায়গায় আলোচনার বিষয়বস্তু এখন একটিই-জাতীয় নির্বাচন। চায়ের কাপে ঝড় তুলছে নির্বাচনী আলাপ।
নির্বাচনী আলোচনায় এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে জোট-মহাজোট কীভাবে তাদের শরিকদের সন্তুষ্ট করবে সেই বিষয়টি। জোট-মহাজোটের আসন ভাগাভাগির দিকেই দৃষ্টি সবার।
সারা দেশে নিজ দল থেকে কারা মনোনয়ন পাবেন তা চূড়ান্ত করে ফেলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। কারা বাদ পড়ছেন সেই ইঙ্গিতও কিছুটা দিয়ে দেয়া হয়েছে।
এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটির ভাবনা এখন মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে। ১৪ দলের বাইরে এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সঙ্গী জাতীয় পার্টি, বিকল্পধারা ও নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপি।
এ তিনটি দলের সঙ্গে রয়েছে পৃথক তিনটি জোট। জাতীয় পার্টির সঙ্গে রয়েছে প্রায় ৫৮টির মতো ইসলামী দল। বিকল্পধারার সঙ্গে রয়েছে ১২টি দল। আর নাজমুল হুদার সঙ্গে রয়েছে বিএনএ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্স) নামে ২০টির মতো দল।
সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে প্রায় অর্ধশত দল নির্বাচন করতে চাইছে। যদিও ওই সব দলের প্রায় অর্ধেকের বেশির নিবন্ধন নেই।
আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে জোটের শরিকদের বিষয়গুলো ভাবতে হচ্ছে। কাকে কতটা আসন দিয়ে সন্তুষ্ট করা যায় সেটিই এখন বিবেচ্য বিষয়।
আওয়ামী লীগ চাচ্ছে ‘উইনেবল’ প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করতে। তিনি যে দলেরই হোন না কেন। এমনকি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও সমস্যা নেই।
এ বিবেচনায় জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফিকে মনোনয়ন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। একজন সাবেক আইজিপিকেও মনোনয়ন দেয়ার কথা ভাবছে দলটি ‘উইনেবল ক্যান্ডিডেট’ বিবেচনায়।
মহাজোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে ৭০ আসন ভাগ করে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। রোববার এ তালিকা প্রকাশের জোর সম্ভাবনা আছে। তবে আজ জোটবন্ধুদের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতা হলে আগামীকাল শনিবারও তালিকা প্রকাশ হতে পারে। দলটির মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, জোট শরিকদের সঙ্গে নির্বাচনী আসন নিয়েই সমঝোতা হবে। যেখানে যে দলের উইনেবল প্রার্থী থাকবে, তাকেই জোটের প্রার্থী করা হবে। তিনি বলেন, সবার সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে। সবার চাওয়া-পাওয়া শোনা হচ্ছে। আমরাও সবার সুবিধা ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তের দিকেই যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, হাতে সময় খুবই কম। আমরা সব গুছিয়ে এনেছি। এখন ঘোষণার পালা। জোটের আসন সমঝোতাও শেষের পথে। শনিবার অথবা রোববার নাগাদ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আওয়ামী লীগ থেকে কারা মনোনয়ন পাবেন সেটি প্রায়ই চূড়ান্ত। বিভিন্ন জরিপের আলোকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি চূড়ান্ত করেছেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, ১৪ দলসহ মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই আসন ভাগাভাগির বিষয়টি ঠিক করা হবে। জোটের শরিক দলগুলো থেকে প্রার্থী বাছাই করে ইতিমধ্যে প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় পার্টি আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়েছে।
জাতীয় যুক্তফ্রন্টও একাধিকবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ওই সব বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগ তাদের কতটি আসন দেবে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
১৪ দলের শরিক দলগুলোও নিজেদের মতো করে প্রার্থী বাছাই করে রেখেছে। হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ দুই শতাধিক আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। পিছিয়ে নেই অন্য শরিকরাও।
মহাজোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থী তালিকা এখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে। দুয়েক দিনের মধ্যেই মহাজোটের শরিকদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে ঠিক করা হবে-কোন দল কতটি আসনে মহাজোটের সমর্থন পাচ্ছে।
আনুষ্ঠানিক বৈঠক না হলেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে পর্দার অন্তরালে আলোচনা চলছে। চেষ্টা করা হচ্ছে কোনো ধরনের বিদ্রোহ ছাড়াই আসন সমঝোতার।
আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে জোট-মহাজোটের শরিক দলগুলো। তবে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জোটগতভাবে নির্বাচনে কোন দলকে কতটি আসন ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ ও কোন কোন আসন ছাড় দেয়া হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে দেখা করে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথাও বলছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও।
বৃহস্পতিবার রাতে ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা গণভবনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে তারা কথা বলতে পারেননি বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং বিকল্পধারার সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী গণবভনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
তবে আওয়ামী লীগসহ জোটের শরিক দলগুলোর সূত্রে জানা যায়, আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একাধিক খসড়া করা আছে। সেগুলো থেকেই প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
আওয়ামী লীগসূত্রে জানা যায়, ১৪-দলীয় জোটে মাত্র চারটি দল আছে সারা দেশে যাদের ১০ থেকে ১২ জন প্রার্থী জনপ্রিয়। জোটের ব্যানারে এদের জিতিয়ে আনা সম্ভব। বাকিদের অবস্থা নাজুক। অথচ এ ১৪ দল থেকে আওয়ামী লীগের কাছে কমপক্ষে ১০০ আসনে মনোনয়ন চাওয়া হয়েছে।
ওই আসনগুলোতে বর্তমানে যারা এমপি আছেন তাদের সঙ্গে জনপ্রিয়তার বিচারে ১৪ দলের প্রস্তাবিত নামগুলো অনেক পিছিয়ে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ ঝুঁকি না নেয়ার কথা ভাবছে।
সূত্রটি আরও জানায়, নির্বাচনের পর যদি বিজয় নিশ্চিত হয়, তখন এসব জোট শরিকের জন্য টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী, সংরক্ষিত মহিলা কোটায় এমপিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রস্তাব থাকছে চূড়ান্ত বৈঠকে। জোটের অনেক শরিক ইতিমধ্যে সরকারি দলের প্রস্তাব মেনে নেয়ার আভাসও দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা ও সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখছেন। তাকে সহায়তা করছেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম।
তবে সিদ্ধান্ত আসবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কাছ থেকেই। তার কথাই শেষ কথা। তিনি জোট নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। জোটের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের কথা জানিয়ে আসছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে দলের সংখ্যা ১২টি। চারটির নিবন্ধন নেই। এ চারটি দল হল- কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাসদ (রেজাউর রশীদ খান) ও গণআজাদী লীগ। নৌকার প্রতীক চেয়ে আবেদন করা এসব দলের কোনো নেতাকে এবার মনোনয়ন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জোট শরিক নিবন্ধিত ৮ দলের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১৫টি আসন নিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে। বাকি চারটির মধ্যে একটি আওয়ামী লীগ। অপর তিনটি দল সংসদে কোনো আসন পায়নি। এবারও সম্ভবত তাদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না।
মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঢাকা-১৭ আসনের বর্তমান এমপি। মহাজোটের কারণে সম্ভবত এ আসনটি বিএনএফকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির নির্বাচিত এমপি ৩৪ জন। দলটি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে ৫৮-দলীয় সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠন করা হয়েছে।
৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী চূড়ান্তের পথে। তবে এ জোটের মাত্র তিনটি দল নিবন্ধিত। এ মুহূর্তে মহাজোটগতভাবে নির্বাচনে লড়তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন নিয়ে দরকষাকষি করছে জাতীয় পার্টি। তারা ১০০ আসন চেয়েছে। দলটির জন্য এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ৪৫-৫০ আসন নির্ধারণ করে রেখেছে।
মহাজোটের বাকি দলগুলোকে দেয়া হতে পারে ২০-২২টি আসন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টে ১২টি দল রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি নিবন্ধিত। নিবন্ধিত দলগুলো হচ্ছে- বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
বিকল্পধারার সভাপতি বি চৌধুরী নির্বাচন করছেন না। দলটির মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান নোয়াখালীর একটি আসন থেকে নির্বাচন করতে চাইছেন। আর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী মুন্সীগঞ্জ থেকে নির্বাচন করতে চান। সম্প্রতি যোগ দেয়া শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট কিংবা মৌলভীবাজারের একটি আসনে লড়তে চান।
যুক্তফ্রন্টের জন্য দুই থেকে তিনটি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে আরেকটি আসন নিয়ে দরকষাকষি চলছে। আসনগুলো বিকল্পধারা ও বাংলাদেশ ন্যাপের মধ্যে বণ্টন হবে।
১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ওয়ার্কার্স পার্টিকে ৫টি আসন দিতে চাইছে। সেগুলো হল-সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন (ঢাকা-৮), সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা (রাজশাহী-২), মোস্তফা লুৎফুল্লাহ (সাতক্ষীরা-১), ইয়াসিন আলী (ঠাকুরগাঁও-৩) ও টিপু সুলতান (বরিশাল-৩)।
এ পাঁচজনসহ ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমানে ছয়জন এমপি রয়েছেন। আরেকজন নড়াইল-২ আসনে হাফিজুর রহমান। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে ওয়ার্কার্স পার্টি এ আসনের পরিবর্তে অন্য আসন চাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষিও চলছে।
১৪ দলের আরেক শরিক জাসদের (ইনু) বিষয়টিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জাসদ ভেঙে যাওয়ার পর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদে এমপি আছেন তিনজন।
দুই বছর আগে জাসদ ভেঙে যে দুই অংশ হয়ে যায়, তার অপর অংশের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ জাসদ। গত নির্বাচনে জাসদের যে ৫ জন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তার দুজন মঈনুদ্দিন খান বাদল ও নাজমুল হক প্রধান বাংলাদেশ জাসদে রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না থাকায় বাংলাদেশ জাসদ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবে বলে দলটির সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া জানান।
বাংলাদেশ জাসদকে কয়টি আসন দেয়া হচ্ছে সে ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। বাংলাদেশ জাসদ সর্বশেষ তিনটির দাবি জানিয়েছে। এ তিনটি হল- মঈনুদ্দিন খান বাদল (চট্টগ্রাম-৮), শরিফ নুরুল আম্বিয়া (নড়াইল-১) ও নাজমুল হক প্রধান (পঞ্চগড়-১)।
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট, জাকের পার্টি ও ইসলামিক ফ্রন্ট, সম্মিলিত ইসলামী জোট, ইসলামী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স।
দলগুলো থেকে চারজন নেতা মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। একাধিক দলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টিসহ মহাজোটের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে আরও অন্তত ৮-১০টি দল বা জোট। তাদের দাবিও নেহায়েত কম নয়।
মহাজোটের আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, আমরা দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছি। এখন জোটের আসন বণ্টন নিয়ে কাজ চলছে। শুক্রবারের (আজ) মধ্যে দলের ও মহাজোটের আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হবে। আমরা আশা করছি ২৪ নভেম্বর (আগামীকাল) দলের ও জোটের তালিকা আলাদাভাবে ঘোষণা করা হবে।