দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ‘গায়েবি’ মামলা তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে দায়েরকৃত রিট আবেদনের উপর হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত একক বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে রিটের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের পর দেশের কোথাও গায়েবি মামলাও হবে না। যেসব মামলা গত সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছে দেশের অধিকাংশ থানায়। এসব মামলায় মৃত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। এমনকি আমাকে দশটি মামলার আসামি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে আমি নাশকতায় জড়িত ছিলাম। তিনি বলেন, রিটের উপর আদালত একটি রুল জারি করতে পারেন। রুল জারি হলে আমরা বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরতে পারব।
শুনানি শেষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক রাষ্ট্রপক্ষে এক সপ্তাহ সময় চান। এর বিরোধিতা করে খন্দকার মাহবুব বলেন, সময় দিলে আমরা আর এ মামলার শুনানিতে অংশ নেব না। কারণ সামনে নির্বাচন। শুনানিতে তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মো. মাসুদ রানা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই রিটের উপর দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক আবেদনের উপর রুল জারি করলেও কনিষ্ঠ বিচারক রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এ দ্বিধাবিভক্ত আদেশ হয়। ওই আদেশের পর মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে যায়। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই একক বেঞ্চে পাঠান। গত ২২ সেপ্টেম্বর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লাহ মিয়া হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন।