২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৩৪

বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে

শীতকালে বেশিরভাগ ঘরে এসি কিংবা ফ্যান চলা বন্ধ থাকে।এ কারণে অনেকেই মনে করেন হয়তো মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল কম হবে। কিন্তু গরম পানির কারণে ঘন ঘন গিজার ব্যবহার করলে বিলের খুব বেশি পরিবর্তন হয় না।বিদ্যুৎ বিল কমাতে সারাবছর কিছু পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।যেমন-

১. কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন আধুনিক পদ্ধতির আলো ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কমবে।

২. বাল্ব বা টিউব মাঝে মধ্যে পরিষ্কার করুন। এতে ভিতরের তার ও ফিলামেন্টে ধুলা জমা কমে আসবে। ফলে বাড়তি বিদ্যুৎ টানারও প্রয়োজন হবে না।

৩. অনেক পুরনো ওয়্যারিং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের জন্য দায়ী। তাই দশ বছর পর পর ওয়্যারিং বদলানোর চেষ্টা করুন।

৪. অনেকেই কম দামী ওয়্যারিং ব্যবহার করেন। এতে বিদুৎ বিলে প্রভাব ফেলে। এর চেয়ে বরং একবারে একটু দামী ওয়্যারিং ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা ভোগ করুন।লাইন, ফ্যান- এগুলো ৫ থেকে ৬ বছর পর পর বদলান।

৫. ফ্রিজ বারবার খুললে বা অনেকক্ষন খোলা রাখলেও বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। এ ধরনের অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করুন।

৬. ফ্রিজের নিচে বা পিছনে থাকা কন্ডেনসার কয়েলটি মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করুন। এখানে ময়লা জমে থাকলে, বিদ্যুতের খরচ প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়।

৭. যেসব ঘরে খুব বেশি আলোর প্রয়োজন নেই সেখানে কম পাওয়ারের লাইট ব্যবহার করুন।

৮. অনেকেই আছেন কম্পিউটার বা টিভি দেখে কিংবা এসি ব্যবহারের পর স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখে দেন সে সব। এতে খরচের মাত্রা বেড়ে যায় ৯০ শতাংশ। এ কারণে কাজ না থাকলে কম্পিউটার ,টিভি, এসি বন্ধ করুন সুইচ বোর্ড থেকে।

৯. অকারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার কমান। যে কাজ এ সব ব্যবহার ছাড়াও করা সম্ভব, তাতে অযথা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না।

১০. সাধারণ রেগুলেটরের বদলে ইলেকট্রনিক ও আধুনিক রেগুলেটর ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমে। নতুন কোনও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্র কিনবেন।

প্রকাশ :নভেম্বর ১৭, ২০১৮ ৪:৩৯ অপরাহ্ণ