প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গায়ের দুর্গন্ধের মাত্রাও। বিশেষ করে যাদের গা থেকে বেশ খারাপ গন্ধ বের হয় তাদের ক্ষেত্রেতো এ সমস্যা আরো প্রকট। কারণ তাদের আশেপাশে থাকা লোকজন এতে বেশ বিরক্ত হন। সেইসঙ্গে নিজেদেরকেও আরো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। তাই কীভাবে শরীরের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচা যায় তার উপায় নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো :
১. খাবার শরীরের দুর্গন্ধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। ব্যাকটেরিয়া মূলত দুর্গন্ধের জন্য দায়ী, তাই যেসব খাবার ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বিস্তারে সাহায্য করে সে ধরনের খাবার বর্জন করতে হবে।
২. শরীর দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে সুতি কাপড় পরিধান করুন। সুতি, লিনেন বা সিল্কের কাপড়গুলোতে বাতাস ভালোভাবে আসা-যাওয়া করতে পারে। এতে আপনি কম ঘামবেন।
৩. প্রতিদিন কাপড়-চোপড় বদলাতে হবে। বিশেষ করে বাসায় ফিরে শুধুই বাতাসে শুকাতে না দিয়ে ধুয়ে ফেলার অভ্যাস করতে হবে। কাপড় ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে।
৪. অন্তর্বাস নিয়মিত বদলাবার এবং ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৫. ভালো ব্রান্ডের ডিওডোরেন্ট এবং ফাইল লেভেল ঠিক আছে কিনা দেখে কিনতে হবে। এবং এই সব ক্যামিক্যালের তৈরি পণ্য স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করাই উত্তম।
৬. যাদের হাইপারহাইড্রোসিসের প্রবণতা আছে তাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভালো। এছাড়া কিছু বিষয়ে উদাসীন হলে চলবে না। যেমন গরমের সময় পানি পানের ব্যাপারে উদাসীন থাকা চলবে না। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।
৭. পা কখনো বেশিক্ষণ ঘর্মাক্ত রাখা যাবে না। পায়ের দুর্গন্ধ সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় ফেলে। গরমের সময় কাপড়ের জুতা পরা যাবে না এবং সুতির মোজা পড়তে হবে।
৮. ব্যাকটেরিয়া কেবল পা আর বগলের নিচেই জন্মায় না। তাই কেবল পা ধোঁয়া আর বগলে স্প্রে করলেই চলবে না। গরমের সময় দরকার সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশেষ করে এই সময় প্রতিদিন সম্ভব হলে দিনে দুইবার গোসল করতে হবে।
৯. শেভিংয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকা চলবে না। বগলের নিচে নিয়মিত শেভিং করতে হবে। এতে ঘাম নির্গমনের সময়কার অস্বস্তি দূর হবে আর ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর পরিমাণও কমে যাবে। অবশ্যই নিজের দিকে একটু বাড়তি নজর দিবেন। এই সময়টাতে সবারই কমবেশি অসুখ হতে পারে। প্রচণ্ড রোদ থেকে বাসায় ফিরে এক গ্লাস গ্লুকোজ বা স্যালাইন খেতে পারেন। এতে পানিস্বল্পতা দূর হবে ও ছোটোখাটো অসুখ হতে একটু নিরাপদ থাকা যাবে।