২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৫৮

পরিচালক কীভাবে ছবি ধ্বংস করতে পারে সেটার বাস্তব প্রমাণ দেখলাম’

আগামীকাল ‘লিডার’ ছবি রিলিজ হচ্ছে। এটা আসলে প্রতারণা হয়েছে। আপনারা সবাই বলেন বাংলা চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী ভালো না। কালার ভালো না। ডাবিং ভালো না। গল্পের প্যাটার্ন ভালো না। গানের স্টাইল ভালো না। এগুলি বলেন। আপনাদের সাথে আমি একমত।

দেখুন, ‘লিডার’ ছবিটিতে যখন আমি আর মৌসুমী অভিনয় করতে চাই তখন গল্পটা অনেক ভালো লেগেছিল। একজন পরিচালক কীভাবে ছবি ধ্বংস করতে পারে সেটার বাস্তব প্রমাণ আমার জীবনে এই প্রথম আমি দেখলাম। এ ছবিটার মধ্যে কিন্তু আমি আর মৌসুমী এবং ফেরদৌস আমরা কেউই হয়তোবা ডাবিং করিনি। হয়তো বা নয়, আমি আর মৌসুমী ডাবিং করিনি। তারা কী করেছে আমি ঠিক জানি না।

‘লিডার’ ছবির ৬০ শতাংশ শ্যুটিং বাকি। এই প্রতারণাটা পরিচালক কী কারণে করল আমার ঠিক বোধগম্য না। দর্শকদের সাথে করেছে, আমাদের সাথে করেছে। একটি গল্পের সাথে করেছে। এটা করার কোন দরকারই ছিল না। ছবিটি শেষ করতে পারতো… শ্যুটিং শেষ করতে পারতো।

ছবিতে নয়েজ আছে, আপনারা ভালো করে জানেন শ্যুটিংয়ে প্রম্পটিং হয়, ডাবিংয়ে এসে আমরা সেটাকে কাভারেজ করি। সে সুযোগটুকু পেলাম না। দীর্ঘ এক বছর আগে আমি পরিচালক সমিতিতে অভিযোগ করেছিলাম, বিচারের আয়ত্তে আনার অনুরোধ করেছিলাম, সেন্সর বোর্ডে আমি চিঠি পাঠিয়েছিলাম, শিল্পী সমিতিতে আমি চিঠি পাঠিয়েছিলাম।

পরিচালক সমিতি আমাকে ও মৌসুমীকে ডেকেছিল। সে অনুযায়ী আমি জনাব গুলজার সাহেব (মুশফিকুর রহিম গুলজার) ও খোকনের সাথে (বদিউল আলম খোকন) আমি বৈঠকে বসি। তারা বিচারের দায়িত্ব নিয়ে বিচার করে দেন যে ডাবিং করতে হবে, কিছু শ্যুটিং করতে হবে, সাথে আমাদের কিছু আর্থিক ব্যাকআপটা পূরণ করে দিবে। পরিচালক এখন পর্যন্ত তা করেনি।

আমি এখন শুনছি ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। একটা ভালো ছবিকে কিল করার অধিকার কার আছে? একজন পরিচালকই তো এটা করতে পারে। একজন পরিচালক হয়ে এ কাজটা উনি কেন করবেন?

প্রকাশ :নভেম্বর ১৫, ২০১৮ ২:৫০ অপরাহ্ণ