মস্তিষ্ক হলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ, যা করোটির অভ্যন্তরে অবস্থিত এবং দেহের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। হাত-পা ভেঙে গেলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্থ হয়। কিন্তু মস্তিষ্ক এলোমেলো হলে পুরো জীবনটাই মূল্যহীন হয়ে পড়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক, গবেষকদের দেয়া মস্তিষ্ক সচল রাখার কিছু সহজ উপায়।
জোরে জোরে হাসুন
দিনে অন্তত একবার ৩০ মিনিট প্রাণ খুলে জোরে জোরে হাসুন। এতে কিছু শেখা ও মনে রাখার ক্ষমতা শতকরা ৩৮ ভাগ বেড়ে যেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাছ খান
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষায় জানানো হয়, সপ্তাহে অন্তত একদিন হেরিং, কাবেলিয়াও বা স্যামন ফিস খেলে মানুষের আইকিউ শতকরা পাঁচ ভাগ বেড়ে যায়। তাছাড়া আখরোট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দিনে তিন কাপ কফি
আনুমানিক ২০০ মিলিগ্রাম বা তিন কাপ কফি পান করলে মস্তিষ্ক সচল থাকে। তবে এর চেয়ে কমও নয়, বেশিও নয়।
উপমহাদেশের মসলার রানি হলুদ
দিনে এক চা চামচ হলুদ যেকোনো সংক্রমণ থেকে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। এছাড়া সাধারণ মানুষ এবং ডিমেনশিয়া রোগীর স্মরণশক্তিকেও সবল করতে সহযোগিতা করে হলুদ।
শাক-পাতা
প্রতিদিন তিন টেবিল চামচ শাক-পাতা খেলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। শিকাগোর এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নাচ
সাম্বা, সালসা বা টাঙ্গো- যা’ই হোক না কেন, নাচ ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায় শতকরা ৭৬ ভাগ। নিউইয়র্কের আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজের করা এক সমীক্ষা এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়, নাচের মাধ্যমে মস্তিষ্ক অক্সিজেন এবং শক্তি পায়।
প্রতিদিনের নিয়ম ভেঙে ফেলুন
প্রতিদিন একই নিয়মে না চলে মাঝে মধ্যে একটু এদিক-ওদিক করতে পারেন। হঠাৎ করে একদিন অন্য চা বা কফি পান করলেন, কিংবা ডান হাতের বদলে বাঁ হাত দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলেন ইত্যাদি। অর্থাৎ একটু অনিয়ম করলেন। এতে মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।
বাগান করা ব্রেন ফাংশন ঠিক রাখে
ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক সমীক্ষা জানায়, বাগানে মাত্র ৩০ মিনিট কাজ করলে মস্তিষ্কে ঠিক মতো রক্ত চলাচল করে, ফলে মস্তিষ্কের অন্যান্য ফাংশনও ভালো হয়।
গাড়ি চালান?
একদিন নেভিগেটার ছাড়া একটি অপরিচিত জায়গায় ড্রাইভ করে চলে যান, আবার ঠিক সেভাবেই বাড়িতে ফিরে আসুন। এতে মস্তিষ্কের পুরনো কোষগুলো সজাগ হয়ে ওঠে।