নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
শনিবার (১০ নভেম্বর ২০১৮) বিকেল ৫টায় বৈঠকে বসার কথা থাকলেও কয়েকজন নেতা এসে না পৌঁছানোর কারণে বৈঠক শুরু হতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এছাড়া সেখানে পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল, মাহবুবুর রহমানসহ আরো কয়েকজন নেতাকর্মী।
জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ২০ দলীয় জোটের একটি বৈঠকও হতে পারে। এ বৈঠকের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না।
নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া থেকে সব রকমের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আজকের বৈঠকে।
এর আগে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই গত বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর ২০১৮) রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। মূলত নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক হলেও এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি কেউ। যদিও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে নির্বাচনের বিষয়ে ইতিবাচক বিএনপি।
এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন বিএনপি কি আদৌ নির্বাচনে অংশ নেবে নাকি আন্দোলনের পথে হাঁটবে।
এদিকে, নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে দ্বিমত এখন বিএনপিতেই। দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন বলছেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে দলটির চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
অন্যদিকে, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, সংলাপে কোনো দাবি না মানার পরেও এই নির্বাচনে অংশ নিলে তা হবে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে সাফ জানিয়ে দেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। বিএনপিকে বাইরে রেখে আবারো নির্বাচন করার সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার জন্যই বিএনপি আন্দোলনে যাবে। নির্বাচন আন্দোলনেরই একটি অংশ। সরকারের লক্ষ্যই হল বিএনপি যেন নির্বাচনে না যায়। সুতরাং তাদের এই লক্ষ্য সিদ্ধ হতে দেব না। আমরা এবার নির্বাচনে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে আছি।’
তবে, বেগম জিয়া কিংবা তারেক রহমানকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া আত্মঘাতীমূলক সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করেন দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারের কাছে যদি আমরা এভাবে আত্মসমর্পণ করি তাহলে তো হল না, কারণ সরকার ৭ দফার কোনটাই তোয়াক্কা করে না। সেহেতু এ অবস্থায় আমাদের নির্বাচনে যাওয়া মানেই সরকারের ইচ্ছা পূরণ করা।’
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হবে বলেও জানান তারা।