২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৩২

‘বাংলাদেশ আজ পরিণত হয়েছে উন্নয়নের এক মহাকাব্যে’

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিটেমোয়েলা কাটোয়া ইউটোইকামনো বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে উন্নয়নের এক মহাকাব্যে, যা আমাদের শেখাচ্ছে লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় অঙ্গীকার, জাতীয় নেতৃত্বে বলিষ্ঠতা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে উজ্জীবিত করার পথ।

এছাড়া উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতি। এছাড়া প্রাইভেট সেক্টর, এনজিও এবং উদ্ভাবনী-উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশ অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। আভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য যথাযথভাবে পাওয়া গেলে কল-কারখানার পাশাপাশি কৃষি ও পোশাক শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা’র অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল। শুক্রবার (৯ নভেম্বর ২০১৮) সন্ধ্যায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও নিউইয়র্ক কন্স্যুলেট জেনারেলের যৌথভাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কন্সাল জেনারেল, মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রবাস-প্রজন্মের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের ভারতীয় কন্সাল জেনারেল ও রাষ্ট্রদূত সন্দ্বীপ চক্রবর্তি উপস্থিত ছিলেন। তার মতে গোটাবিশ্বে আলোড়িত বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে ওঠা সম্ভব হয়েছে; উন্নয়ন পরিক্রমায় সমগ্র জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করে জনগণের ক্ষমতায়ন, নারী ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা-স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শণমূলক একটি নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যাঞ্জলির শিল্পীরা।

স্বাগত বক্তব্যে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বাংলাদেশের এগিয়ে চলার নেপথ্যে কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। সীমিত সম্পদ নিয়ে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছে বলে সাদিয়া উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায়ও বাংলাদেশের সৈনিকেরা অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম আন্তর্জাতিক ফোরামেও সগৌরবে উচ্চারিত হচ্ছে। যে দেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে অপবাদ দেয়া হয়েছিল, সেই বাংলাদেশকে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘উন্নয়নের মডেল’ হিসেবে অভিহিত করছেন।

বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জীবন-মানের উন্নয়নের বিবরণ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির মানব-উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক ড. সেলিম জাহান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকনোমিক অ্যান্ড সোস্যাল অ্যাফেয়ার্স’র সিনিয়র অফিসার ম্যাথিয়াস ব্রাকনার, জাতিসংঘ ক্যাপিটল ডেভেলপমেন্টট ফান্ডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাফর মেচানো, যুক্তরাষ্ট্র-চীন পার্টনার ইনক’র প্রেসিডেন্ট সেভিয়ো চ্যান, ইউনিসেফের কর্মকর্তা সারা বরডাস সহ আরও অনেকে।

নিউইয়র্কে শ্রীচিন্ময় সেন্টারের শিল্পীরা বাংলা গান পরিবেশনা ও ‘নৃত্যাঞ্জলি’র ‘জয় বাংলা-বাংলার জয়’ নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

প্রকাশ :নভেম্বর ১০, ২০১৮ ৫:০৭ অপরাহ্ণ