আগামী ১২ বছর পর ভারতে দুটি অদ্ভূত ঘটনা ঘটবে। ভবিষ্যত ঘুরে এসে এমন দাবি করেছেন স্বঘোষিত ‘টাইম-ট্রাভেলার’ নোয়া। একটি অদ্ভুত অনলাইন ভিডিওতে এ দাবি করেন তিনি।
তার দাবি, তিনি ২০৩০ সাল থেকে ঘুরে এসেছেন টাইম মেশিনে চেপে। তার হাতে রয়েছে একটি চিপ, সেই চিপের সাহায্যেই তিনি দেখে এসেছেন ভারতের ভবিষ্যৎ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘এক্সপ্রেস’ এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী নোয়ার দাবি, আর ১২ বছরের মধ্যে ভারত একটি চিপ আবিষ্কার করবে। সেই চিপ শরীরের মধ্যে লাগিয়ে দেয়া যাবে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের সঙ্গে ইন্টারনেটের সংযোগ থাকবে।
এমন মানুষদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও দাবি করেছেন নোয়া। তিনি বলেন, “আমি ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেটা প্রায় ভগবানের সঙ্গে কথা বলার মতো।”
যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও প্রযুক্তিগত দিক থেকে নাকি এগিয়ে থাকবে ভারত। এমনই দাবি নোয়ার। তার নিজের হাতের মধ্যেও একটি চিপ আছে বলে দাবি করেছেন এই স্বঘোষিত টাইম ট্রাভেলার।
তবে তার দাবি, ২০৩০ সালে যেটা ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যার হবে, তা হল ‘জনসংখ্যা’। তবে ভারত বিনা পয়সায় লোকজনকে মঙ্গলগ্রহে পাঠিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করবে বলেও জানিয়ে দিচ্ছেন নোয়া।
নোয়ার এই দাবিকে অনেকে স্বাগত জানালেও, তার ‘ভবিষ্যদ্বাণী’কে স্রেফ গল্প বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। সময় ভ্রমণ বিষয়টি এখনও কল্পবিজ্ঞান ছবি বা কাহিনিতেই সীমাবদ্ধ। বিজ্ঞানীরা নানা সময়ে নানা কথা বলেছেন এই নিয়ে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আইনস্টাইনের মত বিশ্ববিশ্রুত বিজ্ঞানীও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টি দানা বাঁধেনি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নোয়ার এই আজব দাবিকে মেনে নেওয়া যে কঠিন, তা বলাই বাহুল্য।