লর্ডস-ইডেন গার্ডেন এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এক বিন্দুতে মিলতে যাচ্ছে। ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে টেস্ট শুরুর আগে বেল বাজানোর রেওয়াজ আছে। ভারতের ইডেন গার্ডেনে ৫০১তম টেস্টেও বেল বাজানো হয়। এবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও অভিষেক টেস্টে বেল বাজানো হবে।
লর্ডস বা ইডেনে সাধারণত স্বদেশি সাবেক ক্রিকেটাররা বেল বাজানোর দায়িত্ব পালন করেন। তবে সিলেটে বেলটি বাজাবেন প্রথম টেস্টের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে। তবে টেস্ট অভিষেকের দিকে বাংলাদেশ দলে খেলা সাবেক সিলেটের ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানান, সিলেটে অভিষেক টেস্টকে তারা স্মরণীয় করে রাখতে চান। আর তাই সিলেটবাসীকে টেস্ট ম্যাচ দেখার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
সিলেট নগরীর একটি হোটেলে বুধবার সংবাদ সম্মেলন বিসিবি পরিচালক জানান, টেস্ট ক্রিকেটের চিরায়ত ঐতিহ্যের কাছে ফিরে যেতে চাই। এজন্য সিলেটে অভিষেক টেস্ট উপলক্ষে আমরা বেল নিয়ে এসেছি। অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে স্যুভেনির করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ স্মারক কয়েন দিয়ে টস হবে। উভয় দলের ক্রিকেটারদের জন্যও থাকছে বিশেষ স্মারক।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মনে সিলেট স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেক ছাড়াও উইকেট নিয়ে চিন্তা আছে। দেশের উইকেটে সাধারণত ‘স্পিন’ নির্ভর হয়। তবে সিলেটের উইকেটে পেসাররা বাড়তি বাউন্স পেতে পারেন। তার পরও জিম্বাবুয়েকে কুপোকাত করতে বাংলাদেশ ‘স্পিনিং ট্র্যাক ফর্মুলা’ই প্রয়োগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিলেটের উইকেট খুব বেশি ফ্লাট হয় না বলেই মত মিঠুনের।
সিলেটে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা টেস্টের দলে ডাক পাওয়া টাইগার ব্যাটনম্যান মোহাম্মদ মিঠুন মনে করেন দেশের অন্য জায়গার মতো সিলেটের উইকেটে অতটা ফ্ল্যাট হয় না। তিনি বলেন, টেস্টে অভিজ্ঞতা অনেক বড় ফ্যাক্টর। টেস্ট খেলতে হলে অভিজ্ঞতা অনেক দরকার হয়। অভিষেকের অপেক্ষায় থাকলেও কয়েক বছর প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুবাদে অভিজ্ঞতার অভাব অনেকখানি কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করছেন তিনি। আমি যতটুকু খেলেছি, অন্যান্য জায়গার উইকেট যতটুকু ফ্ল্যাট হয়, এখানে তা হয় না।