ঢাকার কেরানীগঞ্জের পোস্তগোলা ব্রিজের ঢালে টোল বাড়ানোকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং নারীসহ তিন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতাবস্থায় ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সোহেল নামে (২৮) একজন মারা যান। পরে তার মরদেহ সলিমুল্লাহ মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুলিবিদ্ধ তাসলিমা (৫০), আল আমিন (২৬) ও মানিক (২৬) নামে তিনজনের চিকিৎসা চলছে। নিহত সোহেল মহেন্দ্র গাড়ির চালক। সোহেল পুলিশের গুলিতে নিহত হন বলে পরিবহন শ্রমিকদের দাবি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া বলনে, ‘আহত তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টোলের হার বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশও সেখানে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। সংঘর্ষস্থল থেকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ একজনকে কাছের ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবি, বহু শ্রমিককে পুলিশ আটক করেছে। সংঘর্ষে শ্রমিক-পুলিশ মিলিয়ে অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন জানান, ‘পোস্তগোলার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রযেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টোলপ্লাজা ও ব্রিজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।