২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৫৯
A protestor wears a mask of depicting Saudi Crown Prince Mohammad Bin Salman with red painted hands next to people holding posters of Saudi journalist Jamal Khashoggi during the demonstration outside the Saudi Arabia consulate in Istanbul, on October 25, 2018. - Jamal Khashoggi, a Washington Post contributor, was killed on October 2, 2018 after a visit to the Saudi consulate in Istanbul to obtain paperwork before marrying his Turkish fiancee. (Photo by Yasin AKGUL / AFP)

পরিবারসহ সৌদি ছাড়লেন খাশোগির বড় ছেলে

নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির বড় ছেলে সালাহ খাশোগি পরিবারসহ বৃহস্পতিবার সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর চাপে সালাহের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয় সৌদি সরকার। সালাহ খাশোগি যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের যৌথ নাগরিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, পরিবারকে নিয়ে তিনি মা ও অন্য তিন ভাইবোনের কাছে পৌঁছে গেছেন।

পরিবারটি ওয়াশিংটনে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র রবার্ট পাল্লাডিনো জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরবকে পম্পেও বলেছেন, তিনি চাচ্ছেন সালাহ খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসুক।

জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলিতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে পাল্লাডিনো বলেন, সালাহ ফিরে আসার ঘটনায় আমরা খুশি। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাজ করতে চাই।

এদিকে সৌদি আরব জানিয়েছে, তুরস্কের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এটিই প্রমাণিত হয় যে, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত।

এর মধ্য দিয়ে কনস্যুলেটের ভেতরে মারামারিতে খাশোগির মৃত্যু হয়েছিল বলে যে দাবি করা হয়েছিল, সেখান থেকে সরে এসেছে রিয়াদ।

এটিকে গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে এ সাংবাদিকের নিহত হওয়ার ঘটনায় সৌদি কর্মকর্তাদের ভাষ্যের সর্বশেষ পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ধামাচাপা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে যে করেই হোক, এ সংকটের একটি সুরাহা খুঁজছে সৌদি আরব।

ইকবারিয়ার খবরে বলা হয়েছে, খাশোগির ঘটনা তদন্তে গঠিত সৌদি আরব ও তুরস্কের যৌথ টাস্কফোর্সের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই কৌঁসুলি এ কথা বলেছেন এবং এ তদন্তের ভিত্তিতেই কৌঁসুলিরা সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

প্রকাশ :অক্টোবর ২৬, ২০১৮ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ