আইসিটি আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এক দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আমীর খসরুর আইনজীবী মফিজুল হক ভূইয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দুই দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
এদিকে গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে হাজির হয়ে আমীর খসরু জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় নওমী নামে এক বিএনপি কর্মীর সঙ্গে আমীর খসরুর ‘কথিত’ ফোনালাপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ফোনালাপে ঢাকায় ৪০০-৫০০ লোক নামিয়ে দেয়ার কথা বলেন আমীর খসরু।
তিনি বলেন, এখনই তো সময়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে নেপথ্যে থেকে বিএনপি কলকাঠি নাড়ে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ।
৪ আগস্ট চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩/৫৭ (২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় করা মামলায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাবোটাজ’ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং ‘উস্কানি’ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে খসরু ছয় সপ্তাহের জামিন পান।
জামিনের মেয়াদ শেষে ৭ অক্টোবর তিনি চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। সেদিন শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করেন।
মেয়াদ শেষে রোববার নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হয়ে খসরু জামিনের আবেদন জানান। এ সময় আমীর খসরুর জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী।