বিয়েতে বরের আবদার খুব বেশি কিছু ছিল না। শখের একটা বাইক আর গলায় পড়ার সোনার মালা। এই দাবি করেই খোয়া গেল মান। বিয়ে করতে আসা বরের মাথা ন্যাড়া করে দিল গ্রামবাসীরা।
রবিবার রাত ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাত্র এবং পাত্রী দুই পরিবারের আর্থিক অবস্থা আহামরি নয়। তবুও পাত্রের জন্য যথসাধ্য আয়োজন করেছিল পাত্রী পক্ষ।
তবুও মন ভরেনি পাত্রের। বিবাহিত জীবন একটু রঙিনভাবেই কাটাতে চেয়েছিল সে। আর সেই রঙ আসুক শ্বশুরকূল থেকে। এটাত ছিল আশা। সেই কারণে সব কথা পাকা হয়ে যাওয়ার পরেও দাবি করেছিল একটি মোটরসাইকেল। একই সঙ্গে গলায় পড়ার জন্য একটি সোনার মালা।
তার মনে হয়েছিল এ আর এমন কী ব্যাপার। একটা কন্যাদায়গ্রস্ত পরিবারকে সে উদ্ধার করে দিচ্ছে। এই অতিরিক্ত দাবিটা অন্যায় কিছু নয়। আর বিয়ের পর তো জামাই নিজের লোকই হয়ে যায়। তাই ঘরের ছেলের এই আবদারটুকু কী মেটানো হবে না?
এই আশাটাই যে অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে তা কল্পনাতেও ভাবেনি বর বাবাজি। শ্বশুরবাড়ি থেকে তার দাবি সব মেনে নেওয়া হবে বলেই ছিল স্থির বিশ্বাস। কিন্তু তা হয়নি। ছাড়ার পাত্র অবশ্য ছিলেন না এই বিয়ের পাত্রও। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মোটরসাইকেল আর সোনার মালা না পেলে তিনি কিছুতেই বিয়ে করবেন না।
এতেই ঘটে বিপত্তি। শুরু হয়ে যায় গণ্ডগোল। যা পরে হাতাহাতির আকার নেয়। এরই মাঝে বিয়ের আসরে উপস্থিত লোকেরা ক্ষুর দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয় বরের। তাও আবার সম্পূর্ণ নয়। মাঝের দিকের অংশটা। যা চরম লজ্জার এবং অপমানজনক। এই পরিস্থিতিটা একেবারেই কল্পনা করতে পারেননি তিনি।
এই বিষয়ে পাত্রীর দাদি বলেছেন, বিয়ের পাঁচ দিন আগে ছেলে বলছে আমার গাড়ি চাই, সোনার মালা চাই। আমরা দিতে পারব না বলেছিলাম। আর এতেই ছেলে জানায় বিয়ে করবে না।
ভিড়ের মধ্যে কে পাত্রের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে তা তিনি জানেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।