২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:১১

১৯ মাস পর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন শুরু

দীর্ঘ ১৯ মাস পর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। ১৮ মাস গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিলেও সার উৎপাদন শুরু করতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। গ্যাস সংযোগের ৩৮ দিন পর রোববার রাত ৮টায় সার উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে ঘোড়াশাল সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেন নিশ্চিত করেন।

বিসিআইসি নিয়ন্ত্রণাধীন ১৪২২ মে. টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানায় গ্রীষ্মকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল সরকারি সিদ্ধান্তে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পেট্টোবাংলা। পরে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আবারো পেট্টোবাংলা এ সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ চালু করে। গ্যাস সংযোগের তিনদিন পর থেকে পলাশ সার কারখানায় সার উৎপাদন শুরু হলেও ঘোড়াশাল সার কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন শুরু করতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদন বিভাগ জানায়, প্রতি মে.টন সার উৎপাদনে খরচ হয় ১৪ হাজার টাকা। আর একই সার বিদেশ থেকে আমদানি করলে প্রতি মে.টনে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। এ বছর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার টন। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

তিতাসের ঘোড়াশাল সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াশাল সার কারখানায় দৈনিক ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট ও পলাশ সার কারখানায় ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়।

ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানার সিবিএ সভাপতি আমিনুল হক ভূইয়া জানান, দীর্ঘদিন কারখানাটি বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন সরকার আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছিল, অন্যদিকে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল অনেক যন্ত্রপাতি।

প্রকাশ :অক্টোবর ২২, ২০১৮ ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ