দহন ছবির বিতর্কিত গান ‘হাজির বিরিয়ানি’ নিয়ে পত্রপত্রিকা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। তার পরও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। কেন এই গান জাজ মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল থেকে এখনো সরানো হয়নি সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
এবার এই গানটি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল গতকাল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, “কোন দেয়ালে ‘হিসু’ করবি মাতালের বাচ্চা! এই দেশের সব দেয়ালেই ৩০ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত লেগে আছে। যে সমস্ত সেন্সর বোর্ডের মেম্বাররা (হিসু) গানের ছাড়পত্র দেবে, তাদের ছবি একে একে ফেসবুকে তুলে ধরা হবে। গানে (হিসু, বাবা) শব্দটি পজিটিভলি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই বাবা শব্দের মানে হচ্ছে ইয়াবা। ইয়াবা একটি মরণ নেশা, বর্তমান সরকার এই মরণ নেশার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এই অসামাজিক গান বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হোক।”
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গান একটি চলচ্চিত্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি চলচ্চিত্র মুক্তির আগে যখন সেটা সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য বোর্ডে জমা দেওয়া হয় তখন গানসহ পুরো ছবিটাই জমা দেওয়া হয়। গানগুলোকে তখন বোর্ডের সদস্যরা দেখে আপত্তিকর কিছু থাকলে বাদ দেন এবং এটাই নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এখন ছবি মুক্তির অনেক আগেই যে গান মুক্তি দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে, এটা কি সেন্সর বোর্ড আইনের আওতায় পড়ে? সেই গান কি বোর্ডের কোনো সদস্য দেখে অনুমোদন দিয়েছেন? যদি গান মুক্তির আগে অনুমোদন নেওয়া হতো তা হলে ‘দেয়ালে হিসু!’ দেওয়ার মতো বীভৎস গান হয়তো প্রকাশ পেত না। এখন এই গান যদি পরে সেন্সর বোর্ড আটকেও দেয় তাতে লাভ কী! ক্ষতি যা হওয়ার হয়েই গেছে। তাই ছবি মুক্তির আগে গান প্রকাশের ক্ষেত্রে নীতিমালা চালু করা প্রয়োজন। আশা করি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যাপারটা ভেবে দেখবে।’
সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন ১৭ অক্টোবর বিতর্কিত সেই গানের কথাগুলোসহ ফেসবুকে আক্ষেপ করে লেখেন, ‘আহা বাংলা গান, আহা বাংলা সংস্কৃতি, জানি না কোন মাতাল এই গান লিখেছে আর গেয়েছে। RIP Bangla Gaan. Shame Shame
উল্লেখ্য, বিতর্কিত ‘হাজির বিরিয়ানি’ গানটি প্রকাশের পর গত ১৬ অক্টোবর দৈনিক আমাদের সময়ের বিনোদন সময়ে প্রকাশ হয় ‘দহন ছবির গান নিয়ে বিতর্কের ঝড়’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন।