ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপির জোট গঠনে আওয়ামী লীগের মধ্যে ভয় ঢুকেছে বলে মনে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মওদুদ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে আঁতে ঘা লেগেছে সরকারের। এই ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকারকে আমরা বিচলিত দেখতে পাচ্ছি।
‘বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে তারা এটাই প্রমাণ করেছে এই ফ্রন্টকে তারা ভয় পান, জাতীয় ঐক্যকে ভয় পান, দেশের মানুষকে ভয় পান।’
তিনি আরও বলেন, এই ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পরাজয় হবে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে কোনো লাভ হবে না। দেশের মানুষ আজকে যদি গ্রাম-গঞ্জে যদি যান, দেখবেন তারা একটা কথাই বলে ঐক্য হয়ে গেছে।
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বর্তমান মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রীও জয়ী হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মওদুদ বলেন, আর মাত্র তিন মাসও নাই। কিন্তু সরকারের আচরণ দেখে বোঝা যায় যে, তারা কতটুকু ভীত। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তারা রাখছে না। এককভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েই তারা কাজ করছেন।
এসময় তিনি নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভার অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা নিচে নেমে গেছে। তাদের যে জনপ্রিয়তা নাই, তাদের পেছনে যে মানুষ নাই, এটাই তারা বার বার প্রমাণ করছে এসব কাজ করে।
সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, আন্দোলন করে সরকারকে বাধ্য করতে হবে সংলাপে আসতে, সমঝোতায় আসতে।
গণমাধ্যম ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেই সরকার নির্বাচনের আগে দুটি নির্বতনমূলক আইন করেছে বলে অভিযোগ করেন মওদুদ আহমদ।
গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার আইন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই আইনমন্ত্রী।
‘সরকার নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার আইন- এই দুটি আইন করেছেন। কেন এত বছর করে নাই? এখন কেন করছে?’
মওদুদ আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদেরকে আতঙ্কিত করেছে। এই আইনের ধারাগুলো ভয়ংকর, এই আইনে সীমাহীন ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। এখন আবার করা হয়েছে সম্প্রচার নীতিমালা। সেটা আরও মারাত্মক রকমের ড্র্যাকোনিয়ান আইন।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনই সংকট উত্তরনের একমাত্র পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলাম, পরিচালনায় ছিলেন সাইদুর রহমান।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।