২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:১৫

পা ফাটা রোধে করণীয়

পা ফাটা একটি পরিচিত সমস্যা। অনেকে সারাবছরই এই সমস্যায় ভোগেন। কারও কারও আবার শীতের শুরুতে বা আগ দিয়ে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। পা ফাটা কারও কারও এতই মারাত্মক হয়ে উঠে যে পা দিয়ে রক্ত পর্যন্ত পড়ে। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরন করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেমন-

১. তিন টেবিল চামচ চালের গুড়া, এক চামচ মধু এবং ২ থেকে ৩ ফোটা আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। প্রথমে পায়ের গোড়ালি হালকা গরম পানিতে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর পাটা মুছে তাতে মিশ্রণটা লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এটা করলে পা ফাটা কমে যাবে।

২. দুটি পাকা কলা ভালভাবে চটকে নিন। এরপর এটি আক্রান্ত স্থানগুলোতে ভালভাবে লাগান। ২০ মিনিট পর পা ধুয়ে ফেলুন। কলায় থাকা প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার ,ভিটামিন এ, বি সিক্স, এবং ভিটামিন সি ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৩. শুধু মধু ব্যবহার করেও পা ফাটা রোধ করা যায়। গামলায় হালকা গরম পানিতে এক কাপ মধু ঢালুন। পা-টা তাতে ২০ মিনিটের মতো ডুবিয়ে রাখুন। এবার পা ঘষার পাথর দিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত এটি করলে পা ফাটা রোধ করা যায়।

৪. একটি বালতি অথবা গামলায় হালকা গরম পানিতে তিন চামচ বেকিং সোডা ভালোভাবে মেশান। পানিতে ২০মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পাথর দিয়ে পায়ের গোড়ালি আস্তে আস্তে ঘষুন। এরপর পরিষ্কার পানিতে পা ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। পা শুকিয়ে এলে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত তিন বার বেকিং সোডা এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

৫. পা ফাটা রোধে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ দারুন কার্যকরী। প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। এটি পা ফাটা রোধ করবে।

৬. লেবুর রসের সঙ্গে ভেসলিন মিশিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পা ভালভাবে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগান। এটি আপনার পা ফাটা রোধ করবে। সূত্র : ব্রাইটসাইড

প্রকাশ :অক্টোবর ১৯, ২০১৮ ৪:৫৯ অপরাহ্ণ