নরসিংদীর মাধবদী ও শেখের চরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ি দুটিতে একাধিক জঙ্গি অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে এ তথ্য জানান মনিরুল। সিটিটিসি প্রধান বলেন, এরই মধ্যে কাউন্টার টেরোরিজমের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল অভিযানে যোগ দিয়েছে। এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে জঙ্গি আস্তানা দু’টিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মনিরুল বলেন, আমরা তাদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানাবো। তারা যদি এতে সাড়া না দেয় তবে চূড়ান্ত অভিযান চালানো হবে। আত্মসমর্পণ করলে অভিযানের ধরন হবে এক রকম আর আত্মসমর্পণ না করলে অভিযানের ধরণ হবে আরেক রকম।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে রেকি করা হয়েছে। আমরা আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নিয়েছি। চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সোয়াট অভিযান শুরু করবে।
সিটিটিসি প্রধান মনিরুল আরও বলেন, অভিযান পরিচালনায় আমাদের মূল গুরুত্ব থাকবে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা। অভিযানের কারণে তাদের যাতে কোনো ধরণের ক্ষতি না হয় সেদিকে আমরাখেলাল রাখবো। পাশাপাশি সোয়াটের যে সকল সদস্য অভিযান পরিচালনা করবে, তাদের নিরাপত্তাও আমরা দেখবো।
ঘটনাস্থলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে পুলিশের এলআইসি শাখা, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও বগুড়া জেলা পুলিশের সমন্বিত দল নরসিংদীর মাধবদী ও শেখের চরের বাড়ি দুটি ঘেরাও করে রাখে। পুলিশের ধারণা, বাড়ি দুটিতে ৫ থেকে ৬ জন জঙ্গির অবস্থান থাকতে পারে। তাদের ধারণা, আস্তানা দুটি জেএমবি বা নব্য জেএমবির হতে পারে।