প্রেমের প্রতীক রাধা-কৃষ্ণকে হঠাৎ দেখা যায় ঢাকায়। এ বছর জনসমক্ষে তাঁরা আসবেন দুর্গা উৎসবে। আজ বুধবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে দেখা যাবে তাঁদের। ‘রাই কৃষ্ণ পদাবলি’ নৃত্যনাট্যে কৃষ্ণরূপে থাকবেন নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ আর রাধাবেশে শামীম আরা নীপা।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সাজঘরে দল বেঁধে ‘অভয়া মঙ্গলা মা আনন্দময়ী’ নৃত্যনাট্যের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শিবলী ও নীপা। দুর্গা উৎসব উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের মঞ্চে এ নৃত্যনাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি। সেখানে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের নন্দিত নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ।
কৃষ্ণ হয়ে মঞ্চে আবির্ভূত হতে কেমন লাগে? শিবলী মোহাম্মদ বলেন, ‘কেবল কৃষ্ণ নয়; নীলাম্বর, অর্জুন, আলী বাবার মতো পৌরাণিক চরিত্রগুলো করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমি একজন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ ও শিল্পী। আমার কাজ এ চরিত্রগুলোকে ধারণ করে উপস্থাপন করা।’
দেশের জনপ্রিয় নৃত্য জুটি শিবলী ও নীপাকে মঞ্চে দেখতে ভালোবাসেন নৃত্যপ্রেমীরা। তাঁদের নাচের দল নৃত্যাঞ্চলের রয়েছে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নৃত্যনাট্য। সেগুলোর অন্যতম এই ‘অভয়া মঙ্গলা মা আনন্দময়ী’ এবং ‘রাই কৃষ্ণ পদাবলি’। পৌরাণিক এ চরিত্রগুলোকে উপস্থাপন করতে কেমন লাগে? নৃত্যাঞ্চলের প্রধান ও একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নীপা বলেন, ‘এ চরিত্রগুলো অনেক ডাইমেনশনাল। এগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবে এ নৃত্যনাট্যগুলোর প্রদর্শনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মানবতায় বিশ্বাসী। আমরা চাই সব জাতি-গোষ্ঠীর শান্তিময় জীবন। পারস্পরিক ভক্তি-শ্রদ্ধা বজায় রাখতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
‘রাই কৃষ্ণ পদাবলি’ নৃত্যনাট্যটি লিখেছেন শেখ হাফিজুর রহমান, পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নৃত্যপরিচালক সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। শিবলী ও নীপা ছাড়াও এতে অংশ নেবেন নৃত্যাঞ্চলের ৪০ জন শিল্পী। আজ বুধবার রাত ৮টায় কলাবাগান মাঠ পূজা কমিটির উদ্যোগে ‘রাই কৃষ্ণ পদাবলি’ নৃত্যনাট্যটি উপস্থাপন করবেন ভারতের কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার।