একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে আদালত দণ্ডিত করার প্রতিবাদে বগুড়ার শাজাহানপুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার দুপুরে ঢাকাগামী বাসে চালানো ওই হামলায় ৩ নারী যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- আঞ্জুয়ারা বেগম (৫০), মনিরা বেগম (৪০) ও শামিমা (২৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাই তাদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নুর মাহমুদ নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বগুড়া জেলা যুবদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক।
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, নাবিল পরিবনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০৬৪৪) নীলফামারী থেকে ঢাকা যাচ্ছিলো। দুপুর ১টার দিকে বাসটি শাজাহানপুর উপজেলার ফটকি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছার পর পরই সেটিকে লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারা হয়।
ওই বাসের হেলপার শরীফ উদ্দিন বলেন, বাসের বাম দিকে একেবারে সামনের আসন লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারা হয়। এতে ওই বাসের প্রথম দু’টি আসন এ-১ এবং এ-২ তে খানিকটা আগুন ধরে যায়। চালক সঙ্গে সঙ্গে বাসটি থামিয়ে দিলে যাত্রীরা দ্রুত নেমে যান।
ওই বাসের যাত্রী নীলফামারী জেলার উত্তরবালা পাড়া গ্রামের মশিউর রহমানের স্ত্রী আমিনা বেগম বলেন, বিকট শব্দ এবং ধোঁয়া দেখার পর তিনি তার মেয়েকে নিয়ে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নিচে নামেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া জানান, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ নাশকতামূলক তৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য পুলিশ টিম গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে তৎপর ছিল।
তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারার খবর পেয়ে টহল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই হামলার সঙ্গে জড়িত জেলা যুবদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নুর মাহমুদকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পেট্রলবোমার ভাঙা বোতলসহ কিছু আলামত পাওয়া গেছে।