বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে আরও অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
অধিদফতর আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। দেশের চার সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছ ধরার নৌকাগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুউদ্দীন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ ভারতের উড়িষ্যা হয়ে বাংলাদেশের খুলনার দিকে আসার আশঙ্কা আছে। ‘তিতলি’ খুব সম্ভবত ১১ অক্টোবর মধ্যরাতের দিকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে আসতে পারে।