মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী লিয়ন লেডারম্যানকে চিকিৎসার খরচ জোগাতে নোবেল বিক্রি করতে হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
৩ অক্টোবর, ৯৬ বছর বয়সে রেক্সবার্গের আইডাহো শহরের একটি হাসপাতালে মারা যান লেডারম্যান। ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই বিজ্ঞানী।
১৯২২ সালে নিউইয়র্ক শহরে জন্ম লেডারম্যানের। বাবার একটি ধোপাখানা ছিল। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া। নিউইয়র্কের সিটি কলেজে রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা।
স্নাতকের পরেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যাওয়া। ফিরে এসে ফের ডুব দেন পড়াশোনায়। ’৫১-তে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাব-অ্যাটমিক পার্টিকল নিয়ে গবেষণা শুরু। এরপর দীর্ঘ পথচলা। ১৯৭৮-’৮৯, ফার্মিল্যাব-এর ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।
১৯৮৮ সালে ‘মিউয়ন নিউট্রিনো’ নামে একটি সাব-অ্যাটোমিক পার্টিকল আবিষ্কার করার জন্যই পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন লেডারম্যান। পরবর্তী কালে ডিমেনশিয়া ধরা পড়ার পরে নিলামে তোলেন সেই সোনার পদক। ৭ লাখ ৬৫ হাজার ডলার দাম উঠেছিল।
২০১৫ সালে নিলামে পদক বিক্রির পরে লেডারম্যানের স্ত্রী বলেছিলেন, নোবেল সম্মান উনি ভোগ করেছেন। তার ইচ্ছে, বিজ্ঞানের প্রতি তার ভালোবাসা, এবার অন্য কারও কাছে ‘সম্পদ’ হয়ে থাকুক।
‘ঈশ্বরকণা’র কথা তাঁর মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল। ১৯৯৩ সালে নিজের বইয়ে হিগস-বোসন কণার বর্ণনা দিয়ে তিনিই লিখেছিলেন ‘গডস পার্টিকল’। রেখে গিয়েছেন হিগস-বোসন নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা করা মহামূল্যবান তত্ত্ব। যদিও শেষ কালে নিজের সাফল্যের স্মৃতিই ছেঁড়া-ছেঁড়া হয়ে গিয়েছিল। সূত্র: আনন্দবাজার।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

