এই সপ্তাহের মধ্যেই আবারও বাড়ছে গ্যাসের দাম। আর এ ঘোষণা আসবে শিগগিরই। এর আওতায় পড়বে শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন।
তবে কতটা বাড়ানো হবে সে বিষয়ে এখনও জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে বাসাবাড়ি ও ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এর আওতার বাইরে থাকবে।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এনএলজি) খরচ মেটাতেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানিয়েছিলেন- উচ্চমূল্যের এলএনজির (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম সমন্বয় করতে নির্বাচনের আগে আবাসিক বাদ দিয়ে অন্য সব খাতে গ্যাসের দাম বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। তবে এ বৃদ্ধি যেন সহনীয় হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে বলা হয়েছে।
গত জুনে এলএনজি আমদানি চূড়ান্ত হওয়ার পরই গ্যাসের দাম বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়। জুনের ১১ তারিখ থেকে দাম বাড়ানোর ওপর শুনানি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
শুনানিতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় দাম সাত টাকা ৩৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৯৫ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে কোম্পানিগুলো।
সব মিলিয়ে ৭৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। শুনানিতে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বিইআরসিকে বলা হয় ভ্যাট, ব্যাংক চার্জ, রিগ্যাসিফিকেশন চার্জসহ নানা ধরনের চার্জ যোগ করে আমদানি করা এলএনজির বিক্রয়মূল্য দাঁড়াবে ৩৩ টাকা ৪৪ পয়সা, যা বর্তমানে বিক্রীত গ্যাসের চারগুণ বেশি। শুনানি শেষ হওয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার কথা।