আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মালয়েশিয়া আর কোনোভাবেই মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে সহযোগিতা করবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সুচির অবস্থান এবং এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইস্তাম্বুল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন তিনি।
ওই সাক্ষাতকারে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, ‘সুচির ওপর সব বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি আমি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে হঠাৎ করেই তার আচারণ বদলে গেলো। অবাক হওয়ার মতো ব্যপার হলো, রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কিছুই বলতে চাচ্ছেন না তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন এটা আমাদের স্পষ্ট করে বলতে হবে যে, আমরা সত্যিকার অর্থেই তাকে কোনোভাবেই আর সমর্থন করতে পারি না। আমরা রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছি। এছাড়াও বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় দিয়েছি আমরা।’
মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, তিনি খুব হতাশ যে, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তার লেখা চিঠির জবাবও দেন নি সুচি। ওই চিঠিতে গৃহবন্দীদের মুক্তি বিষয়েও কাজ করার কথা জানান তিনি।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩ তম অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় মাহাথির মোহাম্মদ রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মিয়ানমার সরকার এবং সুচিকে তিরস্কার করেন। এছাড়াও তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে গোটা বিশ্ব কেনো চুপ রয়েছে সে প্রশ্নও তোলেন।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনী পরিকল্পিত সহিংসতা চালানোর আলামত খুঁজে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ব্যাপক হারে হত্যা ও ধর্ষণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত সহিংসতা চালানোর যথেষ্ঠ প্রমাণ তাদের হাতে আছে।
এছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুর যথাযথ সমাধান না করায় চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে কানাডা সরকার।