চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে নগরীর লালখান বাজারের ইস্পাহানি মোড় এলাকার এ সংঘর্ষে নিহতের নাম মো. দিদার (২৫)।
একটি মসজিদ ও মসজিদ পরিচালিত মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম এবং স্থানীয় কাউন্সিলর এএফ কবির মানিকের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় মো. সালাহউদ্দিন লাভলু নামে আরেকজন আহত হয়েছেন। হতাহত দুইজনই এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত। নিহত দিদার এলাকায় মাসুম এবং লাভলু এলাকায় বেলালের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মাসুমের সমর্থকেরা। আহত লাভলুকে চমেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুরো লালখান বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। লোকজন ভয়ে ছুটোছুটি করে নিরাপদ আশ্রয় নেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহত দিদারের মাথায় জখম ও পেটের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে আনার পরপরই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, আহত সালাহউদ্দিন লাভলু বাম পাজরে ছুরিকাহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত দিদার মতিঝর্ণা এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। লাভলুর বাসাও একই এলাকায়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ জোনের সহকারী কমিশনার সোহেল রানা বলেন, ‘একেবারে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মতিঝর্ণা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে একজন ছুরিকাহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’
লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা এএফ কবির মানিক ঘটনার জন্য আবুল হাসনাত বেলালকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা মতিঝর্না এলাকায় বসে খোশগল্প করছিলেন এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলালের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দিদারের মৃত্যু হয়।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, ‘দিদার ও লাভলুর মধ্যে যে মারামারি হয়েছে সেটা কোন গ্রুপিংয়ের জন্য নয়। তারা এক সময় এক সাথে ছিলেন কিন্তু সম্প্রতি লাভলু দিদারকে এড়িয়ে চলছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় এবং এর জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে। একটি পক্ষ ইচ্ছে করেই আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করছে।’
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

