রকমারি ডেস্ক:
স্বজাতিকে ভোগ করার প্রবণতা নিয়ে বহু দিন ধরে ব্যাপক গবেষণা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণীজগতে এমন উদাহরণ দেখা যায়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে ‘ক্যানিবালিজম’ এক রোমহর্ষক বিষয়। ইতিহাসে এমন বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে যখন একজন মানুষ অন্য মানুষকে ভক্ষণের অভ্যাস গড়ে তোলে। এখানে তেমনই এক ভয়ংকর নারীর গল্প উঠে এসেছে এখানে।
৪৩ বছর বয়স নাটালিয়া বাকশিভার। ধারণা করা হচ্ছে, এই নারী অন্তত ৩০ জন মানুষ ভক্ষণ করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার স্বামীকেও এক ওয়েট্রেসকে হত্যা করতে বাধ্য করেছেন। নাটালিয়ার বাড়ির রান্নাঘরে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে মানবদেহের অবশিষ্টাংশ। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫ বছরের জেল হতে পারে।
গা শিউরানো এমন অনেক জিনিস খুঁজে পাওয়া গেছে নাটালিয়ার বাড়িতে। একটি বয়ামে মানুষের ত্বকের আঁচারও মিলেছে। সেখানে ১৯ পিস ত্বক পাওয়া গেছে। নাটালিয়া তার স্বামীকে এক ওয়েট্রেসকেও হত্যা করতে বাধ্য করেন। তার ধারণা ছিল ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছেন।
তদন্তে জানা গেছে, তার স্বামী ওই নারীকে হত্যার পর নাটালিয়া তার দেহের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন এবং প্রতিটি অংশ নিয়ে সেলফি তোলেন। রিপোর্টে বলা হয়, গত ৩০ বছরের মধ্যে এই নারী ৩০ জন মানুষের মাংস খেয়েছেন।
শিকারের বেশিভাগই নারী। অনলাইন ডেটিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এই দম্পতি। ১৯৯৯ সালে তোলা এক ছবিতে দেখা যায়, ডিনারের টেবিলে মানুষের বিচ্ছিন্ন মাথা পরিবেশন করা হয়েছে। ওটাকে সাজানো হয়েছে কমলা দিয়ে।
এসব গা গোলানো ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
সূত্র: ডেকান ক্রনিকল