নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি বছরের মে মাসে দেশে মোট ১১৫টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৪ জন, গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৬ জন ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২১ জনকে। এ ছাড়াও ৪৫৩ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। দেশের মোট ১৪টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুসারে সম্প্রতি এমন পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
মহিলা পরিষদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০১৭ সালের মে মাসে মোট ৪৫৩ নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১১৫টি। তার মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮৪ জন, গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬ জনকে, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২১ জনকে।
এ ছাড়াও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ১০ জন। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ১৭ জন। এসিডদগ্ধ হয়েছেন ৭ জন ও অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন ৭ জন। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গত মাসে দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৫টি। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছেন ৪ জন। তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ২ জনকে। বিভিন্ন কারণে ৭৫ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৫ জন। তার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১১ জনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন। তার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে একজনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৩ জনকে। তার মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন দু’জন। বিভিন্ন কারণে ৩৬ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন এবং ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়াও বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ৩২টি। তার মধ্যে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ৮ জন এবং বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে ২৪ জন। ৪০ জন শিশু বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ২২ জনকে। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন।
দৈনিক দেশজনতা/এমএম