ক্রীড়া ডেস্ক:
আগের দিন অনুশীলনে ছুটি ছিল। গতকালও অনুশীলন ছিল ঐচ্ছিক। আইসিসি একাডেমি মাঠে তাই কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে অনুশীলনে এসেছিলেন হেড কোচ স্টিভ রোডস। সৌম্য সরকার, আরিফুল হক, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমরা ঘাম ঝরিয়েছেন ঘন্টা দুয়েক। অনুশীলনে আসেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমরুল কায়েসরা।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এখন ফাইনালের হাতছানি। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই মিলবে এশিয়া কাপের ট্রফি জয়ের মঞ্চে যাওয়ার টিকিট। আবুধাবিতে আজ ‘অলিখিত সেমিফাইনাল’ জিতে ফাইনালে যাওয়ার আশায় বিভোর বাংলাদেশ কোচ। দুটি ম্যাচ খেলায় আবুধাবির উইকেটও এখন অনেকটা পরিচিত বাংলাদেশ দলের। স্টিভ রোডসের মতে, সেখানকার স্লো-লো উইকেট শাপে বর হতে পারে টাইগারদের জন্য। পাকিস্তানের দ্রুতগতির পেসারদের বল ভালোভাবে ব্যাটে আসবে বলে ধারণা করছেন এই ইংলিশ কোচ।
আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ গতকাল বলেছেন, দুবাইয়ের কন্ডিশনে ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের জন্য সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। দলের ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে রোডস বলেছেন, ‘ফিজের (মুস্তাফিজ) কিছুটা ক্র্যাম্প হয়েছে। আসলে আরো অনেকেরই। ইমরুল এসেই ভালো খেলেছে। সেও ক্র্যাম্প করেছে। কিন্তু এখন তারা ভালো আছে। এসব হয়ে থাকে। শুধু বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সাথে নয়, প্রতিপক্ষেরও হচ্ছে। আপনি দেখে থাকবেন বেশিরভাগ ম্যাচেই খেলোয়াড়রা ক্র্যাম্প করছে। কারণ এটা খুব কঠিন। এটা আমরা যারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থাকি তাদের জন্য সহজ। কিন্তু খেলোয়াড় যারা বাইরে থাকা তাদের জন্য খুবই কঠিন।’
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। সুপার ফোর পর্বেও চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে বাজেভাবে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে সরফরাজের দল। রোডস মনে করেন, পাকিস্তান দল এখন কিছুটা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভুগছে।
গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা জানতে চাইলে রোডস বলেছেন, ‘আমরা খুব ভালো সুযোগ আছে। পাকিস্তানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরা খুব সম্মান করি। তারা যেটা করেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। যদিও এটা খুব আগের কথা নয়। তারা ইংল্যান্ডে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে এবং জিতেছে। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে তাদের অবস্থান খুব ভালো নয় কারণ হয়তো তার কিছুটা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে রয়েছে, মানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো আত্মবিশ্বাস নেই।’
আজ পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নটাই দেখছেন বাংলাদেশের কোচ। তিনি বলেন, ‘তারা খুব ভয়ঙ্কর দল। আমরাও খুব ভয়ঙ্কর দল এবং তারাও এটা জানে। ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এটা সেমিফাইনাল। যেখানে আমরা থাকতে চেয়েছি বাংলাদেশ ছাড়ার আগে। এই অবস্থানে আসতে চেয়েছি, পাকিস্তানকে হারিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে যাওয়াটা দারুণ কিছু হবে।’
দ্রুতগতির কয়েকজন পেসার আছেন পাকিস্তানের বোলিং লাইনে। আবুধাবির উইকেটের মন্থরতার কারণে আমির, উসমান খান, হাসান আলীদের বলের গতি নাকি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। টাইগার কোচ বলেছেন, ‘তারা অনেক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। তাদের পেসারদের গতি আছে অনেক। কিন্তু আবুধাবির উইকেট কিছুটা স্লো। তাই এটা পেসারদের সহায়ক হবে বলা যাবে না। তাই এটা আমাদের জন্য ভালো দিক হতে পারে। এর কারণে (গতি) বল ভালোভাবে ব্যাটে আসতে পারে, যখন উইকেট স্লো থাকে। যারা বলের গতি কমাতে পারবে তাদের খেলা কঠিন হবে। দারুণ হবে যদি তাদের পেসারদের গতি আমাদের ব্যাটসম্যানদের শট খেলার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক হয়। এটাই আমি আশা করছি।’