১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:০৮

২০১৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা ১০ অভিনেতা

বিনোদন ডেস্ক:

তারকাদের পেশাজীবন থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন এমন কোনো বিষয় নেই, যা নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। সম্প্রতি প্রতিবছরের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস উপার্জনের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ অভিনেতাদের তালিকা প্রকাশ করছে।

১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আয় করা তারকাদের তালিকা প্রকাশ করছে ফোর্বস। গতবারের তুলনায় তালিকায় এবার বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে। ২০১৭ সালে তালিকার এক নম্বরে থাকা হলিউড অভিনেতা মার্ক ওয়েলবার্গ এবার জায়গা পাননি সেরা দশে। তবে ‘দ্য রক’খ্যাত ডোয়াইন জনসন গতবারের অবস্থান ধরে রেখেছেন।

এ তালিকায় আয়ের দিক থেকে সেরা ১০-এ রয়েছেন হলিউডের আটজন এবং বলিউডের দুজন অভিনেতা। ফোর্বসের তালিকার ভিত্তিতে ২০১৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া শীর্ষ ১০ অভিনেতা-

জর্জ ক্লুনি
হলিউড তারকা জর্জ ক্লুনি সবচেয়ে পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা। ৫৭ বছর বয়সী এ অভিনেতা, সমাজকর্মী, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী গত এক বছরে আয় করেছেন ২৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও তার এ বিপুল অর্থ শুধু অভিনয় থেকেই আসেনি। এসেছে ক্লুনির অ্যালকোহলের ব্যবসা থেকে। ১৯৯৭ সালে জর্জ ক্লুনি ‘ব্যাটম্যান’ ছবিতে অভিনয় করেন।

২০০১ সালে ‘ওশান’স এলিভেন’ ছবিতে ব্যাংক ডাকাতের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি হয় তার। এ ছবির সিক্যুয়েলগুলোও বেশ জনপ্রিয়। ‘ডেঞ্জারাস মাইন্ড’, ‘গুড নাইট’ ও ‘গুড লাক’ ছবি পরিচালনার পাশাপাশি তাতে অভিনয়ও করেন। টেলিভিশন সিরিজ বিজ্ঞাপন ও সিনেমায় সমান জনপ্রিয় তিনি। দ্য রিচেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হলিউড এ অভিনেতার মোট সম্পত্তি ৫০০ মিলিয়ন ডলার। ইউরোপ ও আমেরিকায় ক্লুনির অনেক সম্পত্তি আছে। জর্জ ক্লুনির স্ত্রী ব্রিটিশ আইনজীবী অমল ক্লুনির মোট সম্পত্তি রয়েছে ৭ দশমিক ৬১ মিলিয়ন ডলারের।

ডোয়াইন ‘দ্য রক’ জনসন
২০১৬ সালে ফোর্বসের এই তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিলেন ‘দ্য রক’খ্যাত ডোয়াইন জনসন। গত বছর দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসেন। এবারও ধরে রেখেছেন দ্বিতীয় স্থান। ‘জুমানজি : ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ ছবির সফলতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপচেপড়া অনুসারী তাকে ১২৪ মিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি শুরুতে ‘রকি মায়াভিয়া’ রিং নেম দিয়া পেশাদার রেসলিং শুরু করলেও তিনি পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ থেকে ‘দ্য রক’ নামে ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশনে অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

শুধু রিংয়ে নন, তিনি তার দাপট দেখিয়েছেন সিনেমায় এবং টেলিভিশনেও। ডোয়াইন জনসন প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ‘দ্য স্করপিয়ন কিং’ সিনেমায়। ধনী অভিনেতা হিসেবে পরিচিত সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি এতটাই জনপ্রিয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। হলিউড এ অভিনেতার মোট সম্পত্তি ১২৪ মিলিয়ন ডলার।

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র
‘আয়রন ম্যান’খ্যাত রবার্ট ডাউনি জুনিয়র গতবারের তুলনায় এবার তিন ধাপ ওপরে উঠে রয়েছেন তালিকার তিন নম্বরে। চলতি অর্থবছরে তার আয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। গেল বছর তার উপার্জন ছিল ৪৮ মিলিয়ন ডলার। হলিউড এ অভিনেতার মোট সম্পত্তি ২৬০ মিলিয়ন ডলার। ২০১২ সাল থেকে রয়েছেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের সর্বোচ্চ তালিকায়।

রবার্ট ডাউনি জুনিয়র অভিনীত প্রতিটি চলচ্চিত্র বক্স অফিসে বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চারটি চলচ্চিত্র হলো দ্য অ্যাভেঞ্জার্স, অ্যাভেঞ্জার্স : এজ অব আলট্রন, আয়রন ম্যান ৩ এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকা : সিভিল ওয়ার; এদের প্রত্যেকটি ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মুনাফা অর্জন করেছে। এ ছাড়া মুখ্য চরিত্র হিসেবে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র গাই রিচি পরিচালিত কাল্পনিক গোয়েন্দা ধারাবাহিক শার্লক হোমস এবং এর সিক্যুয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের জন্ম ১৯৬৫ সালের ৪ এপ্রিল।

ক্রিস হেমসওর্থ
চলতি অর্থবছরে সাড়ে ৬৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকার চার নম্বরে রয়েছেন ‘থর’খ্যাত তারকা ক্রিস হেমসওর্থ। ‘থর : র্যুাগনারক’ ও ‘অ্যাভেঞ্জারস : দ্য ইনফিনিটি ওয়ার’ ছবির সফলতা তার এই আয়ের মূল উৎস। অস্ট্রেলিয়ান এ অভিনেতার মোট সম্পত্তি ৬০ মিলিয়ন ডলার। ক্রিস হেমসওর্থের জন্ম ১১ অগাস্ট ১৯৮৩ সালে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান টিভি সিরিজ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে কিম হাইড চরিত্রে এবং থর চরিত্রে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স-নির্ভর থর, দ্য অ্যাভেঞ্জারস, থর : দ্যা ডার্ক ওয়াল্ড এবং অ্যাভেঞ্জারস : এজ অব আলট্রন চলচ্চিত্রতে অভিনয় করে খ্যাতি পান।

কল্পবিজ্ঞাননির্ভর চলচ্চিত্র স্টার ট্রেক, থ্রিলার অ্যাডভেঞ্চার এ পারফেক্ট গেটওয়ে, হরর কমেডি দ্য কেবিন ইন দ্য উডস, ডার্ক ফ্যান্টাসি অ্যাকশন ফিল্ম স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য হান্টসম্যান চলচ্চিত্রেও সফলভাবে অভিনয় করেন।

জ্যাকি চ্যান
তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন চায়নিজ ‘বিগ ব্যাদার’খ্যাত জ্যাকি চ্যান। ২০১৭ সালে সাতটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এবং বেশ কিছু বিজ্ঞাপন থেকে চলতি অর্থবছরে তার আয় সাড়ে ৪৫ মিলিয়ন ডলার। অভিনেতা ও মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যান ১৯৫৪ সালের ৭ এপ্রিল হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। চীনে নির্মিত পুলিশ স্টোরি, আর্মার অব গড-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে যেমন তিনি অভিনয় করেছেন, তেমনই হলিউডেও তিনি সফল! সাংহাই নুন, রাশ আওয়ার, দ্য কারাতে কিড ছবিগুলো বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়।

জ্যাকি চ্যানের মূল নাম চ্যান কং-স্যান। তিনি মোট সাতটি ভাষা জানেন। জ্যাকি চ্যান একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গায়ক। তিনি এ পর্যন্ত পাঁচটি ভাষায় মোট ২০টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। ব্রুস লির একটি সিনেমায় স্ট্যান্টম্যান হিসেবে সিনেমায় যাত্রা শুরু করেন তিনি। জ্যাকি চ্যানের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫০ মিলিয়ন ডলার।

অক্ষয় কুমার
সাড়ে ৪০ মিলিয়ন ডলার আয় করে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার রয়েছেন তালিকার সাত নম্বরে। গত বছর সাড়ে ৩৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে তিনি ছিলেন ১০ নম্বরে। বলিউড এ অভিনেতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫০ মিলিয়ন ডলার। তায়কোয়ান্দোয় ব্লাক বেল্ট পাওয়ার পর তিনি আরও মার্শাল আর্ট শেখার জন্য ব্যাংককে যান। পরে থাইল্যান্ডে তিনি মুই থাই শেখার পর প্রধান ওয়েটারের কাজ করেন। অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরুর আগে ঢাকার পূর্বাণী হোটেলে ছয় মাস শেফের কাজ করেছেন।

যখন তিনি মুম্বাইয়ে ফিরে আসেন, তখন তিনি মার্শাল আর্ট শেখানো শুরু করেন। তার এক ছাত্র ও ফটোগ্রাফার কুমারকে মডেলিং করার জন্য পরামর্শ দেয়, যা তার চলচ্চিত্রে অভিষেকের প্রথম সোপানটি তৈরি করে দেয়। অক্ষয় কুমারের অভিষেক ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘আজ’ দিয়ে। চিত্রনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৯১ সালে ‘সুগন্ধ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। ১৯৯১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ১১২টি। এর মধ্য সুপারহিট বা ব্লকবাস্টার নয়টি। হিট বা সেমি-হিট ২০টি। এভারেজ ব্যবসা করা সিনেমা ২৯টি। এবং ফ্লপ করা সিনেমা ৫৪টি। অক্ষয় কুমারের আসল নাম রাজিব হরি ওম ভাটিয়া।

উইল স্মিথ
মোট ৪২ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকার ছয় নম্বরে রয়েছেন মার্কিন অভিনেতা, প্রযোজক ও গায়ক উইল স্মিথ। অনলাইন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক নেটফ্লিক্সের সঙ্গে ২০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছেন ‘দ্য ফ্রেশ প্রিন্স অব বেল এয়ার’খ্যাত এ অভিনেতা। হলিউড এ অভিনেতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন ডলার। ম্যান ইন ব্ল্যাক-২ থেকে হ্যানকক পর্যন্ত তিনি একটানা মোট আটটি সিনেমায় অভিনয় করেন, যেগুলোর বক্স অফিস কালেকশন ১০০ মিলিয়নের বেশি! ২০০৭-০৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা ছিলেন উইল স্মিথ।

এই সময়ে তার আয় ছিল প্রায় ৮০ মিলিয়ন ডলার! তিনি ইনডিপেনডেন্স ডে, মেন ইন ব্ল্যাক, আলী চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত। সিনেমার আগে তিনি বিখ্যাত টিভি কমেডি সিরিজে দ্য ফ্রেশ প্রিন্স অব বেল এয়ারে টানা ৬ বছর অভিনয় করেছেন। অভিনয়ে আসার আগে গায়ক হিসেবেও বেশ নাম কামিয়েছিলেন। তিনি হিপ হপ সংগীত দল ডিজে জ্যাজি জেফ অ্যান্ড দ্য ফ্রেশ প্রিন্সের সদস্য ছিলেন। শুধু গান গেয়েই ২০ বছর বয়সের আগে তিনি মিলিয়নেয়ার হয়ে গিয়েছিলেন।

অ্যাডাম স্যান্ডলার
গত বছর থেকে চার ধাপ নিচে নেমে তালিকার আট নম্বরে রয়েছেন ‘জ্যাক অ্যান্ড জিল’খ্যাত তারকা অ্যাডাম স্যান্ডলার। চলতি বছর তার আয় সাড়ে ৩৯ মিলিয়ন ডলার। সাবেক ‘ভিডিডি কিং’ শীর্ষ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতাদের তালিকায় রয়েছেন জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা নেটফ্লিক্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে। তার প্রতিষ্ঠান হ্যাপি ম্যাডিসন নেটফ্লিক্সের জন্য চারটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে আর এগুলোর প্রিমিয়ার হবে শুধু এই স্ট্রিমিং মাধ্যমটিতে।

মূলত কৌতুকাভিনেতা স্যান্ডলারের অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো মার্কিন বক্স অফিসে ২০ কোটি ডলার ব্যবসা করেছে। তাকে এক মার্কিন ডলার দেওয়ার বিনিময়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেরত পেয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৪০ ডলার। ২০১৩ সালে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত হলিউড অভিনেতা। তার প্রতিষ্ঠিত হ্যাপি ম্যাডিসন প্রডাকশন অনেক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ও জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল নির্মাতা। একজন স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান হিসেবে অ্যাডাম স্যান্ডলার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার মোট সম্পত্তি ৩৪০ মিলিয়ন ডলার।

সালমান খান
বলিউড ‘ভাইজান’ সালমান রয়েছেন তালিকার নয় নম্বরে। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যবসাসফল ছবি ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ এবং বেশ কিছু নামিদামি বিজ্ঞাপন থেকে তার আয় সাড়ে ৩৮ মিলিয়ন ডলার। গত তালিকায়ও ছিলেন নবম স্থানে। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার। ২৯ বছরের ক্যারিয়ারে তার মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ৭৪টি। এর মধ্যে অল টাইম ব্লকবাস্টার পাঁচটি; ব্লকবাস্টার পাঁচটি, সুপারহিট চারটি, হিট ১০টি; সেমি-হিট দুটি। এভারেজ ব্যবসা করা সিনেমা ১১টি।

ফ্লপ করা সিনেমা ২৯টি এবং ব্যবসায়িকভাবে বিপর্যয় সিনেমা তিনটি। সালমান খানের পুরো নাম আবদুর রশিদ সেলিম সালমান খান হলেও ভক্তদের কাছে ‘সল্লু’ এবং ‘ভাইজান’ নামেও পরিচিত। ১৯৮৮ সালে বলিউডে অভিষেক হয় তার। তার অভিনীত প্রথম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ম্যায়নে পিয়ার কিয়া। সালমান খানের ‘বিয়িং হিউম্যান’ মূলত একটি দাতব্য সংস্থা, যেখান থেকে পোশাক তৈরি করা হয়। বেশির ভাগ সময় তিনি এই ব্র্যান্ডের টি-শার্ট পরে থাকেন। এখান থেকে নির্মিত পোশাকের একটি বিশেষ অংশ দুস্থ শিশুদের স্বাস্থ্য ও লেখাপড়াবিষয়ক দাতব্যকাজে ব্যবহৃত হয়।

ক্রিস ইভানস
মোট ৩৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে তালিকার শেষে অবস্থান করছেন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’খ্যাত ক্রিস ইভানস। সুপার হিরোর চরিত্র তাকে বিশাল অর্থের জোগান দিয়েছে। মার্কিন এ অভিনেতার পুরো নাম ক্রিস্টোফার রবার্ট ‘ক্রিস’ ইভানস। ইভানস হলিউডের বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও দুটি সুপারহিরো চরিত্রে অভিনয় করার জন্যই সর্বাধিক পরিচিতি ও খ্যাতি অর্জন করেছেনÑ হিউম্যান টর্চ ও ক্যাপ্টেন আমেরিকা। ফ্যান্টাস্টিক ফোর ও ফ্যান্টাস্টিক ফোর : দ্য রাইজ অব দ্য সিলভার সারফার ছবি দুটিতে তিনি হিউম্যান টর্চের ভূমিকায় অভিনয় করেন।

একটি কমিকস চরিত্র ক্যাপ্টেন আমেরিকার ভূমিকায় তিনি কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০০ সালে টেলিভিশনে অভিনয় জীবন শুরু হয়। ২০১৪ সালে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলার।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮ ২:৩১ অপরাহ্ণ