আদালত প্রতিবেদক:
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
শুনানির দিন ধার্যের পর কায়সার কামাল বলেন, রিট আবেদনটি দায়েরের পর সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমাদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচজন ডাক্তারের নাম চাওয়া হয়েছিলো। সে অনুযায়ী আমরা ডাক্তারদেও নামের তালিকা দাখিল করি। এরপর সরকার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে যে বোর্ডে আমাদের সুপারিশকৃত তালিকার একজন ডাক্তারও নেই। তারপরও সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে হাসাপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে প্রায় এক সপ্তাহ আগে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু সেই সুপারিশের পরও তার চিকিৎসার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় রিট আবেদনটি আজ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় উঠলে অ্যাটর্নি জেনারেল সময় আবেদন করেন। আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। সেদিন থেকেই তিনি ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাজির করা হয়। সেদিন আদালতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই আদালতে কোনো ন্যায়বিচার নেই। তাই আপনি (বিচারক) যত ইচ্ছা সাজা দিন। আমি আর এ আদালতে বারবার আসতে পারব না।’