রকমারি ডেস্ক:
১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে ইতালির চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি এঁকেছিলেন মোনালিসা। চিত্রকলার ইতিহাসে মোনালিসার এই চিত্রকর্মটির মতো আর কোনটি এত আলোচিত ও বিখ্যাত হয়নি। মোনালিসা চিত্রকর্মটি বিখ্যাত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ মোনালিসার সেই কৌতূহলোদ্দীপক হাসি। মোনালিসার হাসির রহস্যেরও সমাধান এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি।
শত শত পণ্ডিত, গবেষক এবং ঐতিহাসিকেরা বিস্তর গবেষণা করলেও এর কোনো কূল-কিনারা হয়নি। কিন্তু এবার মোনালিসার হাসির রহস্যের সমাধানের দাবি করেছেন এক মার্কিন চিকিৎসক। বোস্টনের হার্ট এন্ড ভাসকুলার সেন্টারের মেডিসিনের অধ্যাপক ড. মন্দীপ মেহরার যুক্তি, থাইরয়েড সমস্যার কারণেই এমন রহস্যময় হয়ে উঠেছে মোনালিসার হাসি।
মোনালিসার থাইরয়েড সমস্যার বিষয়টি প্রমাণের জন্য তিনি ছবিতে মোনালিসার হাত, মুখমণ্ডল, ত্বকের মধ্যে অসুস্থতার বেশ কিছু উপসর্গ খুঁজে বের করেছেন। মোনালিসার রোগটিকে তিনি উল্লেখ করেছেন হাইপোথাইয়েডিজম হিসেবে যার কারণে মানুষের হাত ফুলে যায়, চুল পড়ে পাতলা হয়ে যায় এবং গলায় গলগণ্ড দেখা দিতে পারে। তিনি মোনালিসার ছবির বিভিন্ন অংশের মধ্যে এই ধরনের লক্ষ্মণগুলো আবিষ্কার করেছেন।
মোনালিসার চুলের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের অসুস্থতার কারণেই মোনালিসার চুল পড়ে পাতলা হয়ে গিয়েছিল। হাতের ফোলা অংশ সম্পর্কে বলেন, অসুস্থতার কারণে হাত ফুলে গিয়েছিল। গালের উপরের অংশের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, মোনালিসার মুখের উপরের অংশের পেশি দুর্বল ছিল। গলার কাছের ত্বক হলদেটে হয়ে গেছে। গলার নিচের অংশে নাকি গলগণ্ডও খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
তার দাবি, পর্যাপ্ত দুগ্ধজাত খাবার, সামুদ্রিক মাছ এবং মাংস না খাওয়ায় মোনালিসার শরীরে নাকি প্রোটিনের অভাব দেখা দিয়েছিল। মোনালিসা গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক পর্যায় পার করছিলেন বলেও তিনি মনে করেন ঐ চিকিৎসক। মুখের পেশির দুর্বলতার কারণে নাকি আরো বেশি রহস্যময়তা লাভ করেছে মোনালিসার ছবি।-দ্য সান।