৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:১১

ঘরোয়া সমাধানে ঘি

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
দুধ থেকে তৈরি ঘি’তে ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বিউটারিক অ্যাসিড এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে; যা স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। হজম পদ্ধতি থেকে শুরু করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং বিভিন্ন ভিটামিনের মাধ্যমে অ্যান্টি প্রদাহ উপাদান সরবরাহ করে ঘি। চুল ও ত্বকের জন্যও এটি বেশ উপকারী। এছাড়া নানাবিধ ঘরোয়া কাজ ও চিকিৎসায় ঘি ব্যবহার করা যায়। যেমন-

১. আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, ঘুমানোর আগে যদি এক গ্লাস দুধে দুই চামচ ঘি মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তা কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা বিউটারিক অ্যাসিড হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২. যদি কেউ সর্দি-কাঁশিতে ভোগেন, সারাক্ষণ নাক বন্ধ থাকে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, খাবারে অরুচি দেখা দেয় এবং সেই সঙ্গে মাথা ব্যাথা থাকে তাহলে ঘি হতে পারে দারুণ ওষুধ। বন্ধ নাক খুলতে দুই ফোটা ঘি হালকা গরম করে দিতে পারেন নাকের ভিতরে। এতে তাৎক্ষণিক ফল পাবেন। ঘি গলার মধ্যে গিয়ে সংক্রমণ সারাতেও সাহায্য করে।

৩. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ঘি বেশ উপকারী। পরোটা, সাদা ভাতে যদি অল্প পরিমাণে ঘি মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তা হজমে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. ত্বকের যত্নে ঘিয়ের জুড়ি নেই। সব ধরনের ত্বকে ঘি ব্যবহার করা যায়। এজন্য একটি ফেস প্যাক তৈরি করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন ২ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ বেসন, এক চামচ হলুদ এবং পানি। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। তবে সেটা যাতে খুব শুষ্ক না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এটা করলে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।

৫. ঘিতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এটি চুলের শুষ্ক ভাব দূর করে। এজন্য দুই টেবিল চামচ ঘিয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। হালকা ম্যাসাজ করে ভালো ভাবে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল নরম হয়ে উঠবে। ঘি আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালেও এটি চুলের রুক্ষতা দূর করতে ভূমিকা রাখে। সূত্র: এনডিটিভি

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮ ৪:০৫ অপরাহ্ণ