আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দশকের শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় ফ্লোরেন্স। বৃহস্পতিবার নাগাদ এটি দক্ষিণ ক্যারোলিনায় আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে ঝড়ের মুখে থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর ক্যারোলিনা উপকূল ও ভার্জিনিয়াতেও জরুরি অবস্থা জারি করার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ ক্যারোলিনা গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, ক্যাটাগরি-৪ ঝড়ে রূপ নেয়া ফ্লোরেন্সের বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রলয়ঙ্করী হচ্ছে।
বলা হচ্ছে, ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়া হুগোর পর ফ্লোরেন্স হবে ক্যাটাগরি-৪ ঘূর্ণিঝড়। সেই সময় ঝড়ে অন্তত ৪৯ জনের প্রাণহানি হয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাত বিলিয়ন ডলারের সম্পদ।
এনএইচসি জানিয়েছে, ফ্লোরেন্সের ঝড়ো বেগের কারণে জীবন ঝুঁকির শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। প্রবল বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ডেন মিরার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এটি কারো কারো জন্য ভয়াবহ হতে পারে।
এদিকে হারিকেন ফ্লোরেন্সের কারণে আগামী শুক্রবার মিসিসিপ্পির পূর্বনির্ধারিত র্যালি বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। আবহাওয়াবিদরা বলেন, আগামী ৩৬ ঘণ্টায় ঝড়টি আরও শক্তিশালী হবে।
ম্যাকমাস্টার বলেন, এটি খুবই ভয়াবহ একটি হারিকেন। বাধ্যতামূলকভাবেই উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আমরা চাই না, দক্ষিণ ক্যারোলিনার লোকজনের জীবন ঝুঁকিতে পড়ুক। ব্যাপক বন্যার মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।