নিজস্ব প্রতিবেদক:
খালেদা জিয়ার বিচারে কারাগারে আদালত বসানো অসাংবিধানিক নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা নতুন কিছু নয়। অতীতেও বাংলাদেশের কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানই প্রথমে কারাগারের মধ্যে আদালত বসিয়ে কর্নেল তাহেরের বিচার করেছিল। সেই বিচারে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়েছিল। খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলায় কোনো প্রতিহিংসা বা রাজনীতি নেই। তিনি অপরাধ করেছেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিচার হবেই।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল বলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, সেভাবেই এগিয়ে যাবে। এই উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখতে হলে অবশ্যই নৌকায় ভোট দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় অনতে হবে। আর এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা অর্থবহ হবে। এর জন্য দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে হবে। আর এটা একমাত্র আওয়ামী লীগই আনতে পারবে।
ড. কামাল হোসেনসহ কয়েকজন রাজনীতিবিদের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের বিকল্প থাকুক, এটা তারাও চান। এখানে উচ্চশিক্ষিত জ্ঞানী-গুণী আইনজীবী, হোমরা-চোমরাদের অনেকেই আছেন। আমরাও চাই, তারা আসুক। নির্বাচনে অংশ নিক। তবে তারা যেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীসহ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কাছে না টানেন- এটাই আশা করি।
ড. কামালের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা হিসেবে দাবি করেন। তাহলে তিনি কীভাবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের কথা বলেন, সরকার গঠনের কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।