স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বৈশ্বিকভাবে মানুষ স্বল্প কায়িক পরিশ্রমী হয়ে পড়ছে। এর ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ১০০ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ঠিকমতো শারিরীক চর্চা করছে না। ২০০১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যকার সময়ে নিষ্ক্রিয়তার হার কমার ক্ষেত্রে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যতটুকু শারীরিক পরিশ্রম প্রয়োজন বিশ্বের প্রায় ১৪০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ তা করে না। নারীদের মধ্যে প্রতি তিনজনে একজন এবং পুরুষদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন যথেষ্ঠ ব্যায়াম কিংবা চলাফেরা করে না। এরা দিনের অধিকাংশ সময় টেবিলে বসে কাজ করে , বিকেলে টিভির সামনে বসে থাকে এবং গাড়িতে ভ্রমণ করে। এসব লোক নিজেদেরকে হৃদরোগ,টাইপ-২ ডায়াবেটিস, স্মৃতিভ্রষ্টতা ও ক্যান্সার জাতীয় রোগে আক্রান্তের ঝুঁকিতে ফেলছে।
স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি পরিশ্রম কিংবা ৭৫ মিনিট কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করার সুপারিশ করেছে। সাইকেল চালনা থেকে শুরু করে ব্যায়ামাগের ব্যায়াম, বাগান পরিচর্যা যে কোনো কিছুই এর আওতায় আসতে পারে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অকমন্যের হার কুয়েতে। দেশটির ৬৭ শতাংশ লোক কম পরিশ্রম করে। তালিকায় এরপরেই আছে আমেরিকান সামোয়া (৫৩%), সৌদি আরব (৫৩%) ও ইরাক (৫২%)