নিজস্ব প্রতিবেদক:
রবিবার কারওয়ান বাজারে সম্মেলন কক্ষে বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পোশাক শিল্পের বিভিন্ন প্রতিকূলতার তথ্য তুলে ধরে সিদ্দিকুর রহমান এ খাতের উৎসে কর দুই বছরের জন্য বাতিলের দাবি জানান। একই সাথে করপোরেট কর কমিয়ে আগামী ৫ বছরের জন্য ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখছি, তাতে বলতে পারব না যে এই বাজেট তৈরি পোশাক শিল্পবান্ধব। তবে এখনও অনেক সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি রক্ষা করেন, তখন আমরা বলতে পারব যে এই বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ইউরোর দরপতন, ব্রেক্সিট এবং গ্যাস সঙ্কটসহ বিভিন্ন কারণে এ খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আগামী দুই বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া এ শিল্পের করপোরেট ট্যাক্স হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, শিল্পে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজস্ব নীতিসহ অন্যান্য সব নীতি কৌশল ৫ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করেও তাতে আশাব্যাঞ্জক ফল না পাওয়ার কথা জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গত ১০ মাসে নতুন বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ দশমিক ২১ শতাংশ। গত বছর এ প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছিল।
এক্ষেত্রে নতুন বাজারে রপ্তানি বাড়াতে ৫ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি জানান সিদ্দিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে নিটওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ আর ওভেন পণ্যের রপ্তানি কমেছে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। এই সময়ে পোশাক রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি কমে দাড়িয়েছে ২ দশমিক ২১ শতাংশে। অথচ গত ১০ বছরে পোশাকখাতের গড় রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৩ শতাংশ। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ রপ্তানি কম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির, এম এ মান্নান কচি, ফারুক হাসান ও সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন, সেখানে পোশাক খাতের করপোরেট কর আগের ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। কিন্তু উৎসে কর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে বেড়ে এক শতাংশের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম