ক্রীড়া ডেস্ক:
লক্ষ্যটা ছিল ১৬৯ রানের। ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসের উদ্বোধনী জুটিতেই এলো ৩৭ রান, ৩.৪ ওভারে। কিন্তু একটা পর্যায়ে স্কোরটা হয়ে গেল ৬ উইকেটে ৯২। ১১ ওভারে লাগবে ৯৬ রান, এরকম পরিস্থিতিতে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই ঝুলে গেছে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের দিকে। কিন্তু তখন যে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের তাণ্ডব বাকি! মাত্র ৩৪ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্যাট্রিয়টসের দরকার ছিল ১৭ রান। অ্যালেন স্বদেশী পেসার ডমিনিক ড্রাকসের প্রথম তিন বলেই দুই ছক্কা, এক চারে তোলেন ১৬ রান! পরের বলে লেগ বাই থেকে ১ রান নিয়ে দুই বল বাকি থাকিতেই দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। আগেই প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করা প্যাট্রিয়টসের প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল এটা। ২ উইকেটের জয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে মাহমুদউল্লাহ-গেইলদের দল।
আগের ম্যাচে ১১ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে জেতানো মাহমুদউল্লাহর সামনে আজও নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল। ব্যাটিং অর্ডারেও এদিন এক ধাপ এগিয়ে নেমেছিলেন চার নম্বরে। প্যাট্রিয়টস চতুর্থ ওভারে তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ উইকেটে এসেছিলেন। ইমরান খানের বলে একটি ছক্কা হাঁকালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে এক ছক্কায় ১৫ রান করে মাহমুদউল্লাহ ফেরার সময় প্যাট্রিয়টসের স্কোর হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৯২।
এরপরই সপ্তম উইকেটে বেন কাটিংয়ের (১১) সঙ্গে ৫২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন অ্যালেন। শেষ পর্যন্ত দলকে দারুণ এক জয়ও উপহার দিলেন তিনিই। ৩৪ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ২৩ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান। গেইলের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে এর আগে রোস্টন চেজের ২৮ বলে ৩৮ ও জেসন হোল্ডারের ১১ বলে ৩০ রানের অপরাজিত দুটি ইনিংসে ২০ ওভারে ১৬৮ রান তুলেছিল বার্বাডোজ। কিন্তু সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না। তারা হারল টানা ষষ্ঠ ম্যাচ। মাহমুদউল্লাহ এদিন বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

