নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ৫ জানুয়ারির মতো আর কোনও প্রহসনের নির্বাচন হলে দেশ থেকে বাংলাদেশের পতাকাও হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
রবিবার (০৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এদেশে নির্বাচন হবে কী হবে না, এদেশে কোনও দখলদার প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকবে কী থাকবে না, সেটা নির্ধারণ কোথায় হয়? নির্ধারণ হয় দিল্লিতে। যার প্রমাণ ২০১৪ সালে যখন নির্বাচন হবে কী হবে না তা নিয়ে বিতর্ক চলছিল তখন আমি জেলে বসে দেখলাম মুহূর্তে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বারেবারে দিল্লি ছুটে যাচ্ছেন, কেন?’
খালেদা জিয়ার সাবেক বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিরূপতার পাশে দাঁড়িয়ে আছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবাদের লক্ষ্যেটা হচ্ছে ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের কাছে নতি স্বীকার করা। ভারতের দিকে থাকিয়ে থাকা এবং আমাদের সংস্কৃতির জন্য কলকাতামুখী হওয়া। অথচ এটা আধিপত্যবাদ, এটাই আগ্রাসন। আর তাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই আগ্রাসন থেকে সমগ্র জাতিকে মুক্ত করতে দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আপনারা যদি দিল্লির কোনও কলোনির লোক না হতে চান তাহলে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করুন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাজপথে নামুন। দিল্লির দাসত্বে যে সরকার ক্ষমতায় আছে সেই সরকারকে উৎখাত করে দিন। তবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ফেরত আসবে। আর যদি সেটা করতে না পারেন, তাহলে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা তো চলে গেছে। শেখ হাসিনা যদি বাংলাদেশে আরেকটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করতে পারেন তাহলে বাংলাদশের পতাকাও চলে যাবে।’
সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপি (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, নগর বিএনপি (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরুজ্জামান, ফখরুল ইসলাম রবিন, এস এম জিলানী, গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, নজরুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, জাহিদ হোসেন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর