নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাবনার অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক জাগ্রত বাংলার সম্পাদক সুবর্ণা নদীকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের রাধানগর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সুবর্ণার সাবেক স্বামীর পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ওসি ওবাইদুল হক জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন সন্ত্রাসী রাধানগর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে সুবর্ণার বাড়ির সামনে তার ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তার হাতে ও মাথায় গুরুতর জখম হয়। সুবর্ণার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সুবর্ণার সাবেক স্বামী রাজিবুল রাজু এবং তার বাবা পাবনার ওষুধ কোম্পানি ইডড্রাল ও সিমলা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকের মালিক আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। রাতেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে তার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, সুবর্ণার বাড়ি আটঘরিয়া উপজেলায়। তিনি রাধানগর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সুবর্ণা বেসরকারি টেলিভিশন আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতেন।
সুবর্ণার বোন চম্পা খাতুন বলেন, রাজিবুল রাজুর সঙ্গে দু’তিন বছর আগে সুবর্ণার বিয়ে হয়। পরে তাদের ডিভোর্স হয়। এ ঘটনায় রাজিবুল ও তার পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুবর্ণা। এ মামলায় মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সাক্ষ্য দেন সুবর্ণা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে সাত বছরের মেয়ে জান্নাতকে নিয়ে বাইরে বের হন সুবর্ণা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসার সামনে তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা। ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে আবুলের পরিবারই এ হামলা চালিয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, সাবেক স্বামীর পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।