অর্থনীতি ডেস্ক:
ঈদের আগে বড় উত্থানের পর ঈদ শেষে সংশোধনে ফিরেছে শেয়ারবাজার। মুনাফা তুলে নিতে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক নিম্নমুখী হলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে। অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে।
এদিকে ব্যাংক খাতের ৮৬ শতাংশ কম্পানির শেয়ারের দাম সংশোধন হয়েছে। ঈদের আগে এ খাতের কম্পানির শেয়ারের দামে উল্লম্ফন হয়েছিল। শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পর মুনাফা তুলে নিতে এ খাতে শেয়ার বিক্রিতে দাম কমেছে।
ঈদপরবর্তী সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩২ কোটি সাত হাজার টাকা। আর সূচক কমেছে প্রায় ১২ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা আর সূচক বেড়েছিল ২৫ পয়েন্ট।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেন শুরুর পর শেয়ার কেনার চাপ থাকলেও পরবর্তী সময়ে বিক্রি বাড়ে। সকাল ১১টার পর থেকে বিক্রির চাপে সূচক কমে যায়। পরে সূচক বাড়লেও দিন শেষে সূচক কমার মধ্য দিয়েই লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫৮৪ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৬৪ পয়েন্ট ও ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ০.৫৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৩৪ কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৫টির, কমেছে ১৫৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টি কম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। কম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি আট লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাক্টিভ ফাইনের লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অন্যান্য শীর্ষ কম্পানি হচ্ছে—বিবিএস কেবলস, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং, ঢাকা ব্যাংক, আরডি ফুড, মবিল যমুনা ও ইফাদ অটোস।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা আর সূচক বেড়েছে ০.০৭ পয়েন্ট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।