আদালত প্রতিবেদক:
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ১ অক্টোবর পর্যন্ত নওশাবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। ওইদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করেন।
এরপর মঙ্গলবার আবার ছুটির দিনের জরুরি আদালতের বিচারক ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস নওশাবার ১ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। নওশাবার জামিন বিষয়ে তার আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অসুস্থতার গ্রাউন্ডেই নওশাবাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেওয়ার কথা ছিল। এখন জামিন হওয়ায় তাকে অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।’
এর আগে প্রথম দফায় চার দিন এবং দ্বিতীয় দফায় দুই দিন নওশাবাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পুলিশ জানায় , গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডির জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একদল যুবকের সংঘর্ষের সময় ফেসবুক লাইভে ছাত্র নিহতের মিথ্যা ছড়িয়ে দেন নওশাবা।
এক মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওতে বিমর্ষ ও আতঙ্কিত দেখা যায় নওশাবাকে। লাইভের শুরুতেই তিনি বলেন, আমি কাজী নওশাবা আহমেদ বলছি, আপনাদেকে জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে, দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে।
লাইভে তিনি সকলকে এক হওয়ার অনুরোধ জানান। নওশাবা বলেন, আপনারা সবাই এক সাথে হোন। ওদের প্রটেকশন দিন প্লিজ। বাচ্চাগুলো আনসেইফ অবস্থায় আছে। আপনারা রাস্তায় নামেন প্লিজ।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এদেশের নাগরিক হিসেবে, মানুষ হিসেবে রিকোয়েস্ট করছি, জিগাতলায় স্কুলের ছেলের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
তার ওই বক্তব্যের কোন সত্যতা পায়নি পুলিশ। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ওইদিন রাতে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে নওশাবাকে আটক করে র্যাব।