আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া গুলিতে গত ৪ মাসে ১৬৬ জন নিহত ও ১৮ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১৯৪৮ সালে দখলদার ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে নিজ দেশে পরবাসী হয়ে পড়ে ফিলিস্তিনিরা। সে সময় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজ দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে হয়।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজার অধিবাসীরা সরাসরি ইসরায়েলের দমনপীড়নের শিকার। গাজা পুরোপুরি অবরুদ্ধ রয়েছে। মৌলিক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ফিলিস্তিনবাসীরা। এছাড়াও ইসরায়েলিরা প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করেই চলেছে। ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে সেখানে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করে। পরে গত ৩০ মে নির্যাতন ও উচ্ছেদের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ গাজাবাসীরা ইসরায়েল সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু করে।
বিক্ষোভ দমনে ইসরায়েল সৈন্যরা টিয়ার শেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। এছাড়া ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তা নির্মূলের নামে বিমান হামলা করে ইসরায়েলি সেনারা।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ ও ইসরায়েলের দমনপীড়নের মাঝে দুই পক্ষের মাঝে শান্তি আলোচনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘ ও মিসর। সংঘর্ষ চলাকালীন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মিসর সফর করেন। সেখানে তিনি মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
এছাড়া জাতিসংঘের প্রতিনিধি গাজায় হামাস নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। হামাসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন লেবাননে ৮ বছর ধরে নির্বাসিত হামাস নেতা সালেহ আল আরোরি। নিরাপত্তার ব্যাপারে মিসর ও জাতিসংঘ আশ্বস্ত করলে তিনি মিসর সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেন।