নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদুল আজহায় বাড়ি ফিরতে যারা বাসের আগাম টিকিট কিনেছিলেন তারা আজ থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করবেন। আর আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হবে ট্রেনের আগাম টিকিট যারা কিনেছিলেন।
এদিকে ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে বাসের চালক ও ফিটনেস তল্লাশিতে ছাড়ের খবরে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তারা জানিয়েছেন, ফলে সড়কপথে বাড়ি ফেরা মানুষদের পৌঁছাতে খুব একটা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। উল্লেখ্য, সড়ক, মহাসড়কে যানবাহনের চালক ও ফিটনেস তল্লাশির কারণে ইতোমধ্যে যানবাহনের সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা জানিয়েছিলেন, তল্লাশির কারণে ঈদের সময় ৭০ শতাংশ যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শ্যামলী পরিবহনের এমডি রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, চালকের লাইসেন্স ও গাড়ি ফিটনেস তল্লাশির কারণে ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে পর্যাপ্ত বাস চলাচল নিয়ে পরিবহনে একটা অস্থিরতা ছিল। আর এর ফলে ঈদের সময় বাসে করে যারা বাড়ি ফিরবেন তাদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা ছিল। বিষয়টি মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন। এনিয়ে আজ বৃহস্পতিবার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আইজিপির সঙ্গে দেখা করবেন। আশাকরি একটা নির্দেশনা পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, ঈদের সময়টাতেই যানবাহনে তল্লাশিতে আমরা ছাড় চাচ্ছি। ঈদ শেষেই আবার তল্লাশি শুরু হবে।
হানিফ পরিবহনের জিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, বাসের আগাম টিকিট বিক্রির কথা ছিল ৫ আগস্ট। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কারণে আমাদের টিকিট বিক্রি হয় ৭ আগস্ট থেকে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী বাসের একটি বড় অংশের চালক ও গাড়ির ফিটনেস সমস্যা নিয়ে। এ কারণে পরিবহনগুলো বিশেষ করে দূরপাল্লাগামী বাসের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে আমাদের অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হয়। কিন্তু ঈদের সময় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনে তল্লাশিতে ছাড় দেওয়ায় আমাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের সড়ক-মহাসড়ক খুব একটা খারাপ অবস্থানে নেই। ফলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের খুব একটা ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
ট্রেনের যাত্রা
ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছিল গত ৮ আগস্ট থেকে। প্রথম দিন বিক্রি হয়েছিল ১৭ আগস্টের টিকিট। ফলে আজ থেকে ঈদে ঘরে ফেরা ট্রেন যাত্রীদের যাত্রা শুরু হচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক জানিয়েছেন, এবার ঈদ উপলক্ষে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন দেওয়া হবে। এবার সর্বমোট ১ হাজার ৪০২টি কোচ চলাচল করবে এবং ২২৯টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হবে। বিশেষ ট্রেনগুলো হলো-দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল :ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর স্পেশাল-১, চাঁদপুর স্পেশাল-২, রাজশাহী স্পেশাল, দিনাজপুর স্পেশাল :দিনাজপুর-ঢাকা-দিনাজপুর, লালমনিরহাট স্পেশাল :ঢাকা-লালমনিরহাট-ঢাকা, খুলনা এক্সপ্রেস :খুলনা-ঢাকা-খুলনা, শোলাকিয়া স্পেশাল-১:ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার, শোলাকিয়া স্পেশাল-২ :ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ। রেলসূত্র জানায়, রেলওয়েতে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করে। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৈনিক ৩ লাখ যাত্রী চলাচল করবে।