২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৪৪

হাজরে আসওয়াদে চুম্বন : ঠেলাঠেলিতে আহত অনেকে

ধর্ম ডেস্ক:
আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবা শরীফের হাজরে আসওয়াদ পাথর চুম্বন করতে গিয়ে প্রচণ্ড ভিড় ও ঠেলাঠেলিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হাজি আহত হয়েছেন। তাদের সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ শেষে তারা এখন মোটামোটি সুস্থ। তবে অসুস্থ শরীর নিয়ে তাদের হজ পালনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ হজ মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর একটি প্রাগৈতিহাসিক ইসলামি নিদর্শন এবং বেহেশতের বহু মূল্যবান বরকতময় উপকরণ। এটি পবিত্র কাবাগৃহের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে প্রায় চার ফুট উঁচু দেয়ালের কিছুটা ভেতরে পোঁতা কালো থালার মতো একটি গোল পাথর। কালো বর্ণের বলে এর নাম রাখা হয়েছে হাজরে আসওয়াদ।

হাদিস শরিফে হাজরে আসওয়াদকে বেহেশতী পাথর বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রোকনে আসওয়াদ অর্থাৎ হাজরে আসওয়াদ ও মাকামে ইব্রাহিম বেহেশতের দুটো ইয়াকুত পাথর।’ (তিরমিজি)

প্রতি বছর হজের সময় হাজিদের অন্যতম কাজ আল্লাহর প্রেমে ব্যাকুল হয়ে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত ও তাওয়াফ করা। হাজরে আসওয়াদ তাওয়াফ শুরুর স্থানে অবস্থিত। প্রথমে এখান থেকেই তাওয়াফ শুরু করতে হয়। ‘বায়তুল্লাহ’ বা কাবাগৃহ তাওয়াফ ও প্রদক্ষিণের সময় হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করা ও চুম্বন করা সুন্নত।

জাকির হোসেন বলেন, ‘হজের আগে হাজরে আসওয়াদ তাওয়াফ করতে গিয়ে প্রতিদিনই হাজিরা আহত হচ্ছেন। মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ও হুড়োহুড়িতে কেউ হাতে, কেউ পায়ে আবার কেউ বুকে ব্যথা পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তিনজনের বুকের দু’পাশের পাজর ও একজনের পা ভেঙে গেছে।’

‘প্রতিদিনই অনেকে হাত-পা ছিলে কিংবা মচকানো পা নিয়ে আসছেন। মূল হজের আগে যা মোটেও ঠিক নয়।’

বাংলাদেশি হাজিদের নিরাপত্তার জন্য হজের আগে এ ধরনের ঝুঁকি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান জাকির হোসেন খান।

সরেজমিন দেখা গেছে, কাবা শরীফে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা (শুধু নামাজের সময় ছাড়া) তাওয়াফ চলছে। লাখো মুসল্লি কাবাঘরের চারপাশে সাতবার তাওয়াফ করছেন। সবারই ইচ্ছা থাকে হাজরে আসওয়াদ পাথরে চুম্বন করার। প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কি ও ঠেলাঠেলিতে কেউ সফল হন আবার কেউ চুম্বন করতে না পেরে মন খারাপ করে ফিরে যান।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাকিরা ১৭ আগস্টের মধ্যে সৌদি পৌঁছাবেন। গুরুতর অসুস্থ, মৃত্যু এবং এজেন্সিদের অনাগ্রহের কারণে ৬০৬ জন ভিসার আবেদন করেননি।

পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে ২০ আগস্ট। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার মোট হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২৭ আগস্ট এবং শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২৫ সেপ্টেম্বর।

প্রকাশ :আগস্ট ১৫, ২০১৮ ৪:১০ অপরাহ্ণ