ধর্ম ডেস্ক:
আজ জিলহজ মাসের ১ তারিখ। যারা কুরবানি করার সামর্থ রাখে কিংবা সামর্থ রাখে না; তাদের সবার জন্য জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন অর্থাৎ কুরবানি করার আগ পর্যন্ত কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে। যা পালনে রয়েছে অনেক সাওয়াব।
জিলহজ মাস আসার সঙ্গে সঙ্গে যে বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি এবং সাওয়াবের কাজ তা তুলে ধরা হলো-
– মাথার চুল কাটা কিংবা মাথা ন্যাড়া করা।
– হাত ও পায়ের নখ কাটা।
– মোচ ছেঁটে ছোট করা।
– শরীরের অযাচিত পশম কাটা কিংবা পশম বিলুপ্তকারী ওষুধ ব্যবহার করা।
যদি কেউ কুরবানির আগে এ কাজগুলো করে অর্থাৎ চুল, চামড়া বা নখ কাটে তার জন্য কোনো জরিমানা নেই। তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাই যে ব্যক্তি কুরবানি করবে সে ব্যক্তি জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিন চুল, চামড়া বা নখ কাটা থেকে বিরত থাকবে। তবে অনেকে এ কাজগুলোকে হারাম বলেছেন।
জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন উল্লেখিত কাজগুলো থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জিলহজ-এর ১০ দিন আসে এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার নিয়ত করে; তখন সে যেন নিজের চুল ও চামড়ার কোনো অংশ না কাটে।’ (মুসলিম)
হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জিলকদ মাসের শেষ দিকে উল্লেখিত কাজগুলো সেরে ফেলা উচিত। যাতে জিলহজ মাসের শুরু থেকে কুরবানির দিন পর্যন্ত এ কাজগুলো করা না লাগে। সে আলোকে আজ জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে কাল থেকে এ কাজগুলো করা যাবে না।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, যারা কুরবানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের চুল, নখ বা অযাচিত পশম থেকে নিজেদেরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জিলহজ মাস আসার আগেই পরিচ্ছন্ন করে নেয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসের সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রেখে হাদিসের ওপর আমল করতে উল্লেখিত বিধি-নিষেধগেুলোর প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।