নিজস্ব প্রতিবেদক:
খালেদা জিয়াকে নির্ভীক দেশনেত্রী অ্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভিত্তিহীন মামলায় রাজনৈতিক কারণে আজ খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। তাকে মুক্ত করতে হবে। কারণ তার মুক্তির মাধ্যমে শুধু একজন ব্যক্তির মুক্তি হবে না, মুক্তি মিলবে দেশ ও দেশের জনগণের।’
আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৪৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের রিজভী এসব কথা বলেন। আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী আগামী ১৫ আগস্ট কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জন্মদিন উপলক্ষে ওই দিন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি, রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় সারা দেশের জেলা ও উপজেলায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
রিজভী বলেন, ‘ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতারা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের পেটোয়া বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলা-নিপীড়নের কথা তুলে ধরেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘আজকে সারা জাতি অবরুদ্ধ। কোমলমতি বাচ্চাদের যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছে তাদের রক্তমাখা কেডস ও রক্ত মাখা শার্ট দেখলে কার না হৃদয় ভাঙবে। অথচ এই ঘটনাও ঘটিয়েছে এই পাষন্ড সরকার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের ওপর হেলমেট পরে যারা আক্রমণ করেছে প্রধানমন্ত্রী তাদের দেখতে যান। কিন্তু যারা আক্রান্ত হয়েছে সেই স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের দেখতে যান না। এই নিষ্ঠুর দেশে আমরা এখনো বাস করছি।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আমরা এখনো কেন ঘর থেকে বের হতে পারি না। কেন আমরা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথের ইট, কাঠ, কংক্রিটের ধূলা উড়িয়ে দাঁড়াতে পারি না। সেটা ভাবলে নিজের কাছে নিজেকেই ধিক্কার লাগে।’
রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া গুলশানের অফিসে অবরুদ্ধ থাকাবস্থায় কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুসংবাদ শুনতে হয়েছে তাকে। তখন তিনি শেখ হাসিনার রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করেননি। ভয়কে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া সেদিন নির্ভীক ছিলেন। এটাই হলো খালেদা জিয়ার বৈশিষ্ট্য। এটাই হলো তার ঐতিহ্য। এই বৈশিষ্ট্য-ঐতিহ্য নিয়েই তিনি দশকের পর দশক জাতীয়তাবাদের পতাকা, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের পতাকা উড্ডীন রেখে চলেছেন।’
সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন— বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহানগর উত্তরের সভানেত্রী পিয়ারা মোস্তফা, দক্ষিণের সভানেত্রী রাজিয়া আলিম ও সাবেক এমপি রওশনারা ফরিদ প্রমুখ।