আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। বৃহস্পতিবার লম্বক দ্বীপে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর আগে রোববার রাতে ওই একই দ্বীপে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আন্তারা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, রোববারের ওই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৭ জনে। তবে আরও একটি সরকারি সংস্থা বলছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর এ পর্যন্ত ৩৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং দেশের আবহাওয়া ও ভূতত্ত্ব সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নতুন করে ভূমিকম্পের আঘাতে বহু ভবন ধসে পড়েছে। আতঙ্কিত লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।
ভূমিকম্পের পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরয়ো নুগরোহো বলেন, বৃহস্পতিবার ভূমিকম্পের পর লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তারা বাড়ি-ঘর থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ এই ভূকম্পনের কারণে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে ট্রমা দেখা দিতে পারে।
রোববার রাতে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছেন। ওই ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, কমপক্ষে ১৪শ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।
লম্বক দ্বীপে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। রোববার রাতে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর কমপক্ষে ২৩০ বার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে যা আগামী দু’সপ্তাহ আরও বেশ কয়েকবার হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, লম্বক উপকূলে সেনগিগি এবং জিলি দ্বীপের মধ্যবর্তী পর্যটক শহরে সোমবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রোববার যে এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল তার কাছাকাছি এলাকায় মঙ্গলবার ভোর ২টা ২১ মিনিটে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এর আগে গত জুলাইয়ের ২৯ তারিখে লম্বক দ্বীপে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১৭ জন প্রাণ হারায়।