আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানালেন তিনি।
একইসঙ্গে এলিসি প্যালেসে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ভারতের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে শুধু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ইস্যু নয়, বিশ্ব জলবায়ু নিয়েও কথা হয় দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে। সেখানে প্যারিস চুক্তি থেকে ভারত যে ভবিষ্যতে সরে দাঁড়াবে না সেকথা সাফ জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সমগ্র বিশ্বের কাছেই অত্যন্ত যন্ত্রণার বিষয়। কৌশলগত উপায়ে ভারত থেকে সন্ত্রাসবাদ কীভাবে নির্মূল করা সম্ভব সেই বিষয়টিই উল্লেখ করেছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। একদিকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও অন্যদিকে বোকো হারাম। এই দুই জঙ্গি সংগঠনই এখন বিশ্বে সবচেয়ে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকদিন কোনও না কোনও প্রান্তে প্রত্যেকদিন জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের শনিবারের বৈঠকে মূলত সেই বিষয়টিই উঠে আসে।
শুধু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ইস্যুই নয়৷ একইসঙ্গে এদিন বিশ্ব জলবায়ু নিয়েও কথা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে। ২০১৫ সালে প্যারিসে যে জলবায়ু চুক্তি হয় তাতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা রাশিয়া সহ বিশ্বের ১৪৮টি দেশ তাতে সাক্ষর করে। ভারতও প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যতম সদস্য। এখন যুক্তরাষ্ট্র সেই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভারত যে সেই পথে যে হাঁটবে নে এদিন সাফ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, শিক্ষা, এনার্জিসহ একাধিক বিষয় জায়গা পেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক দিকটি আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। ফ্রান্স ভারতের নবম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। সামরিক, মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে নগরন্নোয়ন বা নিউক্লিয়ারসহ একাধিক ক্ষেত্রে আগামীদিনে যেন বিনিয়োগের পথ আরও মসৃণ হয় সেকথাও হয় মোদী-ম্যাক্রনের মধ্যে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ